লক্ষীপুর ও বরগুনায় আরো দুটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (বিপ্রবি) হচ্ছে। চাঁদপুরেও হচ্ছে। যাদের সংক্ষিপ্তরূপ হয়তো হবে, লবিপ্রবি, ববিপ্রবি, চাবিপ্রবি।
এ নিয়ে বিপ্রবি’র সংখ্যা কতো হলো, জানি না।
তবে শিঘ্রই দুই ডজন হবে আশা করছি। কারণ আরো কয়েকটি বিপ্রবি’র জন্ম হবে। এই বিপ্রবিগুলোতে ভবন থাকবে না। ঠিকমতো আবাসন থাকবে না।বিপ্রবিগুলোতে বিজ্ঞান চর্চার নাম গন্ধ থাকবে না। তবে কলা ও বাণিজ্য অনুষদের বহু বিষয় রাখা হবে। এবং হাজার হাজার স্টুডেন্ট ভর্তি করানো হবে।
ব্যাচেলর-মাস্টার্স পাশ করা কয়েকশ শিক্ষক থাকবে। যাদের পঞ্চাশ ভাগ চার-পাঁচ ধরে বিদেশে যাওয়ার জন্য চেষ্টা করবে। তারপর বিদেশে গিয়ে আরো পাঁচ-সাত বছর পড়াশুনা করবে। এদিকে স্টুডেন্টদের ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার মতো পর্যাপ্ত শিক্ষক থাকবে না। সেশন জটে পড়বে স্টুডেন্টরা। শিক্ষার পর্যাপ্ত উপকরণ থাকবে না। গবেষণার তো প্রশ্নই আসে না।
এই বিপ্রবিগুলোতে ছাত্র রাজনীতি থাকবে। দেশ ও জাতির রক্ষার জন্য শিক্ষক-ছাত্ররা রাজনীতিতে ব্যস্ত থাকবে। যে যার সুবিধামতো পদ-পদবী নিবে। এগুলো নিয়ে মাথা ফাটাফাটি হবে। দল-উপদল কোন্দল হবে।
যে দেশ তার একশো বছরের একটা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বমানের করতে পারেনি আজো, সে দেশ ও ব্যবস্থাপনা এই বিপ্রবিগুলোকে আগামী একশো বছরে কোথায় নিয়ে যাবে-এটা একটা শিশুও অনুমান করতে পারবে।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে পাকিস্তানের মাটিতে পা রাখবে ভারত!
news24bd.tv এসএম