২০১৮-১৯ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে করমুক্ত আয়ের সাধারণ সীমা আগের মতোই আড়াই লাখে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। নারী ও ৬৫ বছরের ওপরে বয়সের করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা তিন লাখ টাকাই থাকছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে করমুক্ত আয়ের সীমা চার লাখ ও গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ ২৫ হাজারে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত জাতীয় সংসদে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন করেন।
এছাড়া যাঁদের নিজ নামে দুটি গাড়ি ও সিটি করপোরেশন এলাকায় মোট ৮ হাজার বর্গফুট আয়তনের গৃহসম্পত্তি আছে, তাঁদের সারচার্জের আওতায় আনার প্রস্তাব করেছেন অর্থমন্ত্রী মুহিত।
আড়াই লাখ টাকার পর চার লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ১০ শতাংশ, পরবর্তী পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ছয় লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ২০ শতাংশ ও পরবর্তী ৩০ লাখ টাকা পর্যন্ত মোট আয়ের ওপর ২৫ শতাংশ ও ৩০ লাখের ওপরে মোট আয়ের ওপর ৩০ শতাংশ কর থাকছে।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কর হার আড়াই শতাংশ কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি সরকারি হলে ৪০ শতাংশ ও বেসরকারি হলে ৪৫ শতাংশ কর আরোপের প্রস্তাব করা হয়েছে।
তৈরি পোশাক উৎপাদন ও রপ্তানিতে নিয়োজিত করদাতার কর হার ১৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে। পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি হলে কর হার সাড়ে ১২ শতাংশ এবং সবুজ কারখানার জন্য ১২ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।