কৃষি নির্ভর একটি জেলা সাতক্ষীরা। চিংড়ি ও মিষ্টির পাশাপাশি কুল,ওল, হলুদ এবং আমের জন্য সমৃদ্ধ এ জেলায় এখন মাল্টা চাষেও বেশ সুখ্যাতি অর্জন করেছে কৃষকরা।
মাটি ও আবহাওয়াজনিত কারণে অন্য জেলার চাইতে সাতক্ষীরার মালটা মিষ্টি ও সুস্বাদু এবং লাভজনক। তাই আম চাষের পর এবার মালটা চাষেও সফলতার মুখ দেখছেন সাতক্ষীরার দি হাইব্রীড নার্সারি মালিক নুরুল আমিন।
তার দেখাদেখি দিন দিন মাল্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন সাতক্ষীরার কৃষকেরা।পুরাতন সাতক্ষীরা এলাকার বাসিন্দা কৃষক নুরুল আমিনের মাল্টা ক্ষেতে যেদিকেই তাকাবেন চোখে পড়বে থোকা ধরে ঝুলে থাকা সবুজ মাল্টা। আশাশুনির বাহদুরপুরের এবার তিনি ২০ বিঘা জমিতে মাল্টা চাষ করে পেয়েছেন অভবনীয় সাফল্য।
নুরুল আমিন গেলো তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে নিজেকে ব্যাস্ত রেখেছেন কৃষি কাজের সাথে।
আরও পড়ুন:
হাতুড়িপেটা করে নদের পাড়ে ফেলে গেল দুর্বৃত্তরা
মার্ক জাকারবার্গকে বাংলাদেশি আইনজীবীর আইনি নোটিশ
প্রথম প্রকাশ্যে এসে পুনিতের স্ত্রীর আবেগঘন স্ট্যাটাস!
সাধারণত দুই থেকে তিন বছরেই মাল্টা গাছে পরিপূর্ণ ফল আসে। সাতক্ষীরার মাটি ও আবহাওয়া একটু লবনাক্ত হওয়াতে সাতক্ষীরা অঞ্চলের মাল্টা খুবই মিষ্টি। প্রতি কেজি মাল্টা বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। তার চাষ কৌশল দেখতে বিভিন্ন জায়গার সাধারণ কৃষক প্রতিনিয়তই ভিড় জমাচ্ছে মাল্টা বাগানে।
মাল্টা লাভ জনক একটি ফসল। বারি মাল্টা-১ এর মিষ্টতা সবচেয়ে বেশি। কৃষক নুরুল-আমিনের সাফল্যে সাতক্ষীরার মাটিতে মালটা চাষে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন কৃষি কর্মকর্তারা। সাতক্ষীরা জেলায় ৬১ হেক্টর জমিতে এবছর মাল্টার আবাদ হয়েছে।
news24bd.tv নাজিম