বেশীরভাগ মানুষ যখন প্রেমে পড়ে তখন সে চেহারা, বাহ্যিক সৌন্দর্য ইত্যাদি দেখে প্রেমে পড়ে এবং এমনটা হয় হয়তো স্বাভাবিক ভাবেই। কিন্তু কিছু মানুষ আছেন যারা চেহারা অথবা বাইরের সৌন্দর্য নয়, শুধুমাত্র বুদ্ধিমত্তা, মেধা, জ্ঞান দেখেই প্রেমে পড়েন অন্যের। এদেরকে বলা হয় ‘স্যাপিওসেক্সুয়াল’।
স্যাপিওসেক্সুয়ালদের প্রেম ও যৌনতার অনুভূতি মস্তিষ্ককে ঘিরে তৈরী হয়।
বাহ্যিক সৌন্দর্য বা পেশা অথবা সামাজিক অবস্থানের চাইতেও তাদের কাছে অনেক বড় হয়ে দাঁড়ায় অপরদিকের মানুষটির বুদ্ধিমত্তা। এই মানুষেরা অপরপক্ষের উন্নত জীবন বোধ এবং চিন্তাধারা দেখে তাদের প্রতি আকৃষ্ট হয়, যেখানে তাদের ক্ষেত্রে যৌন আকাঙ্ক্ষার তীব্রতা দেখা যায় কম।স্যাপিওসেক্সুয়ালেরা দেখা মাত্রই কারো প্রেমে পড়েননা। তাদের কাছে যেহেতু ব্যক্তির শারীরিক সৌন্দর্য মূখ্য হয়না সেহেতু তারা বন্ধুত্বকে প্রাধান্য দেন বেশী এবং প্রেমেও পড়েন অনেক সময় নিয়ে।
অনেকের মতে স্যাপিওসেক্সুয়ালদের প্রেম হচ্ছে আসল প্রেম যেখানে একজন সুদর্শন পুরুষ অথবা নারী একজন এমন মানুষের প্রেমে পড়তে পারেন যার জ্ঞান বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশ অসাধারণ এবং তূলনামূলকভাবে বাহ্যিক সৌন্দর্য কম। তাই প্লেটনিক শব্দটা এদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হয়তো।
বিশেষজ্ঞদের মতে এই চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মানুষেরা নিজেদের ভালো লাগার কথা অনেক সময় প্রকাশ করতে দ্বিধা বোধ করেন এই কারণে যে হয়তো তার পছন্দের মানুষটি তাকে ঠিক সেই দৃষ্টিতে দেখছেনা, সে যেভাবে দেখছে!
তাই বেশীরভাগ স্যাপিওদের প্রেম সফলতা পায়না। অথবা অবাঞ্চিত হয়। আমি জানিনা আমাদের ভেতর কত ভাগ স্যাপিওসেক্সুয়াল আছে! তবে ব্যপারটা খুব ইন্ট্রেস্টিং মনে হয়েছে আমার কাছে।
(সোশ্যাল মিডিয়া বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )
আরও পড়ুন:
ছয় মাসের সাজা এড়াতে ৭ বছর তৃতীয় লিঙ্গের সাজে যুবক
news24bd.tv/ নকিব