কবরস্থানে ধর্ষণ ও মাদকব্যবসার অভিযোগ

Other

দেশের বৃহত্তম দুটি কবরস্থানকে কেন্দ্র করে অপরাধের নিরাপদ অভয়ারণ্য গড়ে তুলেছে অপরাধীচক্র। কবর দখল করে ঘর নির্মাণ, চুরি, ছিনতাই থেকে শুরু করে মাদক কেনাবেচা এমনকি দেহব্যবসার মতো অনৈতিক কর্মকাণ্ডের নিরাপদ জায়গা হিসেবে বেছে নেয়া হচ্ছে কবরস্থানগুলোকে।  

এই বাস্তবতায় কর্তৃপক্ষ বলছে, বিষয়টি সম্পর্কে তারা অবগত। শিগগির অভিযান করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

রায়ের বাজার বৃদ্ধিজীবী কবরস্থান। ৮৬ একর বিশিষ্ট দেশের সর্ববৃহৎ কবরস্থানটির মূল ফটকের ভেতরেই প্রতিদিন বসে মাদকের রমরমা হাট। শুধু তাই নয়, নির্বিঘ্নে মাদক নিতে কবরস্থানের ভেতরে আসরও জমে প্রায় নিয়মিত।

কবরের ভেতরেই খেলতে আসা এক তরুণের কাছে জানা গেল, শুধু মাদকই বিক্রি কিংবা সেবন নয় এখানে ছিনতাইয়ের মতো ঘটনাও ঘটে অহরহ।

আরও পড়ুন:


টিকটক ভিডিও বানাতে গিয়ে ছাদ থেকে পড়ে কিশোরের মৃত্যু

ফোন আপনার হাতে কিন্তু নিয়ন্ত্রণ করছে হ্যাকাররা, কী করবেন?


এদিকে, দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিরপুর শহীদ বৃদ্ধিজীবী কবরস্থানের চিত্র যেন আরো করুন। এখানে, মৃতদের কবর দখল করে ঘর নির্মাণ করে ভাড়াও দেয়া হয়েছে।

এই কবরস্থানটিতেও বসে মাদকের জমজমাট আসর। তবে, এখানে মাদক সেবন চলে কবরের ওপরে বসেই।

খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, প্রায় প্রতিটি কবরের ভেতরেই লুকিয়ে রাখা হয় মাদক। কৌশলে কথা বলতেই একটি কবরের ভেতর থেকে মাদক বের করে দেখালেন ইমন নামের এক মাদকসেবী।

শুধু দখল কিংবা মাদক বিক্রি করেই ক্ষান্ত হননি অপরাধীরা। কখনো কখনো ধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে এখানে! অন্যদিকে, এই কবরস্থানগুলোর পবিত্রতা ও নিরাপদ রাখতে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।

 news24bd.tv/ কামরুল