বিদ্যালয়ের ছাদে মিললো সিলমারা শত শত ব্যালট পেপার

বিদ্যালয়ের ছাদে মিললো সিলমারা শত শত ব্যালট পেপার

অনলাইন ডেস্ক

গত ১১ নভেম্বর টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার ডুবাইল ইউনিয়নে দ্বিতীয় ধাপে ইউপি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সেই নির্বাচনের আট দিন পর আজ সকালে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ছাদে সিল মারা ৫২৭টি ব্যালট পেপার উদ্ধার হয়েছে। সবগুলোই তালগাছ প্রতীকের।

সকালে এ ইউনিয়নের সেহরাতৈল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাদে শিশু শিক্ষার্থীরা খেলতে গিয়ে ব্যালট পেপারগুলো দেখতে পায়।

জানা গেছে, এ ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে তালগাছ প্রতীকের নারী সদস্য পদের প্রার্থী বিউটি আক্তার ৩০০ ভোটের ব্যবধানে হেরে যান। এই সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী সদস্য পদে মাইক প্রতীকের প্রার্থী রাশেদা বেগম ১৮০০ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন।

স্থানীয় লোকজন জানান, বিদ্যালয়ের ছাদে শিশু শিক্ষার্থীরা খেলতে গিয়ে ব্যালট পেপারগুলো দেখতে পেয়ে তারা বিষয়টি শিক্ষকদের জানায়। পরে শিক্ষকরা স্থানীয়দের অবগত করলে বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

এরপর তালগাছ প্রতীকের প্রার্থী বিউটি আক্তার ঘটনাস্থলে আসেন। ব্যালট পেপার দেখে তিনি কান্নায় ভেঙে পড়েন।

বিউটি আক্তার বলেন, ‘আমি নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলাম। নির্বাচনে আমাকে ৩০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত দেখানো হয়। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ৮ দিন পর আমার নিজ কেন্দ্রের বিদ্যালয়ের ছাদে তালগাছ প্রতীকের সিল মারা ৫২৭টি ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে। ’

তিনি বলেন, ‘এই ব্যালট পেপারগুলো একত্রিত করলে আমি দুই শতাধিক ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হতাম। নির্বাচনে ফেল করাতেই আমার প্রতীকে সিলমারা ব্যালট পেপার বিদ্যালয়ের ছাদে রেখে দেয়। পরে ভোট গণনা করে আমাকে ফেল দেখানো হয়। ’

পরাজিত এই প্রার্থী আরও বলেন, ‘বিষয়টি নিয়ে আদালতে আইনগত ব্যবস্থায় যাবো। ব্যালট পেপারগুলো আমার কাছে এনে রেখেছি। ’

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন বলেন, ‘বিষয়টি আমি জানি না। তবে মোবাইলে শুনেছি। প্রার্থী ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করে আইনগত ব্যবস্থা চাইতে পারেন। ’

এ ব্যাপারে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এএইচএম কামরুল হাসান বলেন, কে বা কারা ব্যালট পেপারগুলো বিদ্যালয়ের ছাদে রেখে গেছেন, সেটা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।


আরও পড়ুন:

অঝোরে কাঁদলেন মেয়র জাহাঙ্গীর

বেগম জিয়াকে ভয় পায় সরকার: মান্না


তিনি বলেন, নির্বাচন শেষ করে সংশ্লিষ্ট প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সিলগালা করে ফলাফল ঘোষণা করে এসেছেন। তখন কোনো প্রার্থীর অভিযোগ ছিল না।

দেলদুয়ার থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘অফিশিয়ালি অভিযোগ বা কোনো নির্দেশনা পেলে বিষয়টি আমরা তদন্ত করবো। ’

news24bd.tv নাজিম