শেষ বল বিতর্ক : ক্রিকেট আইন কী বলে?

শেষ বল বিতর্ক : ক্রিকেট আইন কী বলে?

অনলাইন ডেস্ক

মাত্র ১২৪ রানের পুঁজি নিয়েও জয়ের একটা সম্ভাবনা তৈরি করেছিলেন টাইগাররা। শেষ ওভারে পাকিস্তানের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ৮ রান। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বোলিংয়ের দায়িত্ব নিয়ে তুলে নেন তিনটি উইকেট। তবে একটি ছক্কা হজম করায় শেষ বলে বাকি থাকে ২ রান।

স্ট্রাইকে তখন মাত্রই ব্যাটিংয়ে আসা মোহাম্মদ নওয়াজ। বোলিং প্রান্তেও প্রস্তুত মাহমুদউল্লাহ। শেষ বলে ২ রানের সমীকরণে বোলিং করেও ফেলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। কিন্তু একদম শেষ সময়ে গিয়ে সরে দাঁড়ান নওয়াজ, বলটি গিয়ে আঘাত হানে স্ট্যাম্পে।

গর্জে উঠল পুরো স্টেডিয়াম। কিন্তু পরে দেখা  গেল মাঠে আম্পায়ার তানভীর আহমেদ কোনো সংকেত দেননি। তার মানে ‘আউট’ না!

মাহমুদুল্লাহ ডেলিভারি দেওয়ার পর বল যখন পিচে ড্রপ করল ঠিক ন্যানো সেকেন্ডের ব্যবধানে নিজেকে সরিয়ে নিলেন ব্যাটসম্যান নেওয়াজ। পাক ব্যাটসম্যান হয়তো বুঝতে পারছিলেন এই ডেলিভারিতে তিনি সুবিধা করতে পারবেন না। সে কারণেই কৌশলের আশ্রয় নিলেন। কিন্তু ব্যাটসম্যানকে সমর্থন করে ওই বলটি ‘ডেট’ ঘোষণা করলেন ফিল্ড আম্পায়ার।

বলটি ফেয়ার ছিল কিনা না তা নিয়ে সংশয় শুরু হয়ে গেল। বাংলাদেশের অধিনায়ক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ মাঠের আম্পায়ারের কাছে আবেদনও করেছিলেন। কিন্তু ততটা জোরাল ছিল না। সে কারণেই কিনা থার্ড আম্পায়ার পর্যন্ত সিদ্ধান্তটি পৌঁছাল না। এমনটি মাঠের আম্পায়ার তানভীর আহমেদ এমন একটি মহাগুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে তখন লেগ আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মাঠের আরেক আম্পায়ার মাসুদুর রহমান মুকুলের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজনও মনে করেননি।

এ নিয়ে তৈরি হয়ে যায় বিতর্ক! এমন পরিস্থিতিতে আম্পায়ার কি আউট দিতে পারতেন না? আম্পায়ারের অভিধানে কি লেখা আছে।

ক্রিকেটের আইনে ২০.৪.২.৫ ধারায় বলা হয়েছে, যদি বল করার সময় ব্যাটসম্যান প্রস্তুত না থাকেন এবং বল করার পর সেটা খেলার চেষ্টা না করেন, তাহলে সে বল ‘ডেড বল’ হিসেবে গণ্য করা হবে। আম্পায়ার যদি বিশ্বাস করেন, ওভাবে সরে যাওয়ার পেছনে যথেষ্ট যুক্তি আছে, তাহলে সে বলকে ওভারের অংশ হিসেবে ধরা হবে না।

ক্রিকেটের আইনের ২১.৫ ধারা বলা আছে, বোলারের বাঁ পা অবশ্যই ক্রিজের মধ্যে এবং ক্রিজ স্পর্শ না করে থাকতে হবে। আম্পায়ারের যদি মনে হয়, এই কন্ডিশন মানা হয়নি, তাহলে নো বল ডাকতে পারবেন।   কিন্তু আগেই ‘ডেড বলে’র সংকেত দেওয়ায় এ নিয়ে আলোচনার অবকাশ নেই।

তবে আাম্পায়ার তানভীর আহমেদ যদি সেটি ডেড বল না দিয়ে আউটের সিদ্ধান্ত দিতেন তাহলে বাংলাদেশ ১ রানে জয় পেত। কিন্তু ডেড বল ডাকায় পরের বলে চার মেরে ৫ উইকেটের জয় নিশ্চিত করে পাকিস্তান।  

গতকাল প্রথমে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ১২৪ রান করেছিল বাংলাদেশ। মোহাম্মদ নাঈম খেলেছেন ৫০ বলে ৪৭ রানের ইনিংস। এছাড়া শামীম ২২ এবং আফিফের ব্যাট থেকে আসে ২০ রান। ১২৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৫ উইকেটে জয় পায় পাকিস্তান। টি-২০ সিরিজ ৩-০ ব্যবধানেই জিতল সফরকারীরা।

আরও পড়ুন: 

তাদের আন্দোলন রাজপথে নয়, ফেসবুকে: ওবায়দুল কাদের

ফখরুল বললেন, আন্দোলন-আন্দোলন-আন্দোলন

ধর্ষণ মামলায় জামিন: ক্ষমা চাইলেন বিচারক

ব্যাটিং ব্যর্থতায় শেষ ম্যাচেও এলো না বড় পুঁজি


কালকের ম্যাচে ৩৮ বলে ৪৫ রান করে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ হায়দার আলী। সিরিজ সেরা হয়েছেন পাকিস্তানের ওপেনার মোহাম্মদ রিজওয়ান। সিরিজটি ২-১ হতে পারত। কিন্তু শেষ ম্যাচের শেষ বলের বিতর্কের কারণে অন্যরকম হয়ে গেল!

news24bd.tv/আলী