মৃত্যুবার্ষিকীর দুইদিন আগে ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ একাধিক অভিযোগ

অপ্রাপ্তবয়স্ক বান্ধবীর সঙ্গে ম্যারাডোনা ও তার বন্ধুরা

মৃত্যুবার্ষিকীর দুইদিন আগে ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ একাধিক অভিযোগ

অনলাইন ডেস্ক

প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীর মাত্র দুইদিন আগে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা ম্যারাডোনার বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনেছেন তার সাবেক বান্ধবী। তার মাকে দরজার বাইরে রেখে তার মুখ চেপে তাকে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন ম্যারাডোনার একসময়কার অপ্রাপ্তবয়স্ক বান্ধবী মাভিস আলভারেজ।

সম্প্রতি আর্জেন্টিনার বিচার বিভাগের সামনে ২০ বছর আগের এক মানব পাচার মামলায় সাক্ষ্য দিতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আর্জেন্টিনায় আসেন মাভিস আলভারেজ। এসময় তিনি আর্জেন্টিনার এক গণমাধ্যম 'ইনফোবে'কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এই গুরুতর অভিযোগ আনেন।

ডিয়াগো ম্যারাডোনা

তিনি বলেন, '২০০১ সালে একবার আমি ম্যারাডোনার সঙ্গে আর্জেন্টিনায় আসি। এবার দ্বিতীয় দফায় এলাম। আমাকে বাক্সে ভরে সবার অগোচরে আনার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু পরে দিয়াগোর বন্ধু ফিদেল কাস্ত্রোর সহযোগিতা ও বিশেষ অনুমতিতে বুয়েনস এইরেসে আমি যেতে পারি।

'

তিনি তখন ম্যারাডোনার সঙ্গে একটি হোটেলে ওঠেন। এসময় মাভিসের মা এসেছিলেন মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে। তিনি বলেন, 'ম্যারাডোনা আমার মুখ চেপে রেখেছিলেন, যাতে আমি চিৎকার না করতে পারি। আমি তাই কিছু বলতে পারিনি। এরপর আমাকে ধর্ষণ করেন তিনি। সেদিন মা আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তিনি জানতেন, আমরা ওই হোটেলের কোন কক্ষে ছিলাম। কিন্তু ডিয়েগো কক্ষের দরজা খোলেননি। আমার মা কেঁদে কেঁদে দরজায় কড়া নেড়েই যাচ্ছিলেন। তাও ডিয়েগো রাজি হননি। পরে ক্লান্ত হয়ে আমার মা চলে যান। কারণ, ম্যারাডোনা দরজা খুলছিল না। '

মাভিস আলভারেসের সঙ্গে ডিয়াগো ম্যারাডোনা

এতো আগের ঘটনা এতোদিন পর সামনে আনার কারণ জানতে চাইলে মাভিস বলেন, 'দেখুন, ফিদেল কাস্ত্রোও মারা গেছেন, ডিয়েগো ম্যারাডোনাও মারা গেছেন। আমার মেয়ের বয়স এখন ১৫ বছর। মনে হয়েছে, আমার মেয়ের বয়স এখন ঠিক তেমন, যে বয়সে আমার সঙ্গে ওসব হয়েছিল। আমি হোটেল থেকে বেরোতে পারতাম না, আমাকে আটকে রাখা হয়েছিল। আমাকে অপহরণ করে নিয়ে আসা হয়েছিল। আমি কিছুই জানতাম না শহরটার ব্যাপারে। সব সময় একজন বা দুজন আমাকে দেখে দেখে রাখত। '

ম্যারাডোনা সম্পর্কে আরও অভিযোগ এনে মাভিস বলেন, 'ম্যারাডোনা কৃত্রিমভাবে আমার স্তন প্রতিস্থাপন করাতে চেয়েছিলেন। আমি তখন নাবালিকা। তাই এ কাজ করতে হলে অভিভাবকের সম্মতির দরকার হয়। কিন্তু ম্যারাডোনা ওসবের ধার ধারেননি। যে কারণে আর্জেন্টিনায় বেশি দিন থাকতে হয় আমাদের। ম্যারাডোনা ছোট স্তন পছন্দ করতেন না। তাঁর বিশেষ আগ্রহেই এ কাজ করতে হয়। কিন্তু আমার শরীরে পর্যাপ্ত চামড়া না থাকার কারণে ম্যারাডোনার প্রত্যাশা অনুযায়ী স্তনের আকার দেওয়া সম্ভব হয়নি। '

আরও পড়ুন:

শীতে পানি বেশি খাবেন যে কারণে


news24bd.tv/ নকিব