ডাক্তারের কাণ্ড, বাচ্চার ‘হাত-পা নেই’ বলে গর্ভপাত!

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল।

ডাক্তারের কাণ্ড, বাচ্চার ‘হাত-পা নেই’ বলে গর্ভপাত!

Other

ঠাকুরগাঁও সদর রুহিয়ায় ৬ মাসের নবজাতকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে গাইনী ডাক্তার ও আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট করা ডাক্তারের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২২ নভেম্বর) সদর উপজেলার রুহিয়া ঘনিমশেষপুর গ্রামের বাসিন্দা নবজাতকের মা ও বাবা এরশাদুল ইসলাম এই অভিযোগ করেন।

অভিযোগে জানা যায়, গত ১৭ নভেম্বর এরশাদুল দম্পতি ৬ মাসের গর্ভবতী হওয়ায় চিকিৎসার জন্য ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের গাইনী ডাক্তার ফারহানা রহমান মিতুকে দেখান। সন্তান পেটে থাকা অবস্থায় তিনি রোগীকে দেখার পর আল্ট্রাসনোগ্রামের পরামর্শ দেন।

ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী সেদিনই হাসান এক্স-রে ক্লিনিক এন্ড প্যাথলজিতে আল্ট্রাসনোগ্রাম করা হয়।

পরে রির্পোট (ছবি) দেখে ডাক্তার বলেন, নবজাতকের একটি হাত ও একটি পা নেই। রিপোর্টটি তাৎপর্যপূর্ণ না হওয়ায় পূনরায় দেশ এক্স-রে ক্লিনিক এন্ড প্যাথলজিতে ডা. সোনার মাধ্যমে আল্ট্রাসনোগ্রামের পরামর্শ দিলে পূনরায় আল্ট্রাসনোগ্রাম করানো হয়। আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট পাওয়ার পর ডা. ফারহানা বলেন, সন্তানটি প্রতিবন্ধী তাই গর্ভপাত করাই ভালো।

ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ওই প্রসুতিকে আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং গতকাল সোমবার সকালে এ্যাবোশন করে সেই সন্তান জন্মের পর দেখা যায় তার হাত-পাঁ সব কিছুই ঠিক রয়েছে।

এরশাদুল ও তার স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ভুল তথ্য, চিকিৎসায় আমার ৬ মাসের পেটের সন্তানকে হারালাম। আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট অনুযায়ী আমার সন্তানের হাত-পা নাই এমনটা বলেছিল ডাক্তার। তাই আমি এ্যাবোশন করাতে রাজি হই। কিন্তু জন্মের পর দেখলাম তার হাত-পাঁ সব কিছুই ঠিক আছে। ডাক্তার আমাদের ভুল চিকিৎসা দিয়েছে। পূর্বে আমরা আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট টা ভালো করে দেখতে বলায় ডাক্তার আমাদের সাথে দূরব্যবহার করেন। আমরা গরিব বলে যা তা ভাষায় কথা বলেছেন। এই ভূল চিকিৎসার জন্য আজ আমাদের অনেক বড় ক্ষতি হয়ে গেল।

আল্ট্রাসনোগ্রাম ডাক্তার সোহেল সরকার বলেন, রিপোর্টে ত্রুটি থাকায় ওই দম্পত্তিকে অ্যানোমালি স্ক্যান করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়।

ডাক্তার মিরাজুল ইসলাম সোনা বলেন, রিপোর্ট-এ নবজাতকের হাত-পা গুলো ছোট দেখাচ্ছিল, তারা বললে তো হবে না স্বাভাবিক? রিপোর্টটা দেখতে হবে, আমারও ভুল হতে পারে।

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের গাইনী ডাক্তার ফারহানা রহমান মিতু বলেন, বাচ্চাটার এ্যালামনিয়া, জন্মগত সমস্যা আছে। রিপোর্টে বলেছে ওই বাচ্চার বয়স ৬ মাস, সে অনুযায়ী তার হাত-পাঁ গুলো বৃদ্ধি হয়নি। ওই দম্পত্তির অনুমতি নিয়ে সব কিছু করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:  

ম্যারাডোনা ছোট স্তন পছন্দ করতেন না

আইনজীবী আবু তোরাব মানিক বলেন, সন্তান প্রতিবন্ধী হলেও হত্যার অনুমতি আইনে নেই। যদি এটা করে থাকে তাহলে সেটা অপরাধ।

news24bd.tv/তৌহিদ