লক্ষ্মীপুর উৎসব উত্তাপে প্রচারণায় ব্যাস্ত সবাই

লক্ষ্মীপুর

পৌরসভা ও ২০ ইউপি নির্বাচন ২৮ ডিসেম্বর

লক্ষ্মীপুর উৎসব উত্তাপে প্রচারণায় ব্যাস্ত সবাই

Other

তৃতীয়ধাপে লক্ষ্মীপুরে একটি পৌরসভা ও ২০টি ইউপিতে আগামী ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। নির্বাচনকে ঘিরে এখন প্রচার প্রচারনায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন প্রার্থী ও সমর্থকরা। নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট প্রার্থনায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন প্রার্থীরা।   

প্রতিদ্ধন্দ্বি প্রার্থীর সমালোচনায় ভোটের উত্তাপও ছড়ানো হচ্ছে কোথাও।

ঘটছে সহিংসতার ঘটনা। এমন পরিস্থিতিতে সৎ ও যোগ্য প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে সুষ্ঠু ভোটের নিশ্চয়তা চান ভোটাররা। এদিকে সুষ্ঠু ও অবাধ ভোট অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সকল ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে বলে জানালেন স্থানীয় প্রশাসন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৮ নভেম্বর লক্ষ্মীপুর সদর পৌরসভা ও রায়পুর উপজেলায় ১০টি এবং রামগঞ্জ উপজেলার ১০টি ইউপিতে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন।

নির্বাচনকে ঘিরে শেষ মূহুর্তের প্রচারণায় ব্যাস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীও সমর্থকরা। প্রার্থীদের ব্যানার পেস্টুনে ছেয়ে গেছে শহরের অলি গলি ও গ্রাম। ২৮.২৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় বর্তমানে ওয়ার্ড সংখ্যা ১৫টি।  

কেন্দ্র সংখ্যা ২৮ টি। বর্তমানে দেড় লাখ জনগোষ্ঠি বসবাস করছে এ পৌরসভায়। এর মধ্যে ভোটার সংখ্যা ৭১ হাজার ৩২২জন।   পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪ জন। সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৮০ জন, মহিলা কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ২০ জন।  

আরও পড়ুন


সিটি করপোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় নটরডেমের ছাত্র নিহত


মেয়র পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের মোজাম্মেল হায়দার মাসুম, স্বতন্ত্র প্রার্থী (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাকির আল মামুন মোবাইল ফোন প্রতীক, ইসলামী আন্দোলনের মাওলানা জহির উদ্দিন হাত পাখা প্রতীক ও সিংহ প্রতীক নিয়ে লড়ছেন জাতীয়বাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মোহাম্মদ আব্দুর রহিম।

নির্বাচনী এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এসব প্রার্থীরা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে উঠান বৈঠক, পথসভা ও শোডাউন করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। এলাকার রাস্তা ঘাট, পুল কালভার্ট, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, মাদক, সন্ত্রাস রোধ, নারী অধিকার ও উন্নয়নসহ নানা সমস্যা তুলে ধরে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন।  

দিন-রাত নির্ঘূম প্রচারনাসহ ভোট প্রার্থনায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন সবাই। স্বতস্ফুর্তভাবে উৎসবের আমেজ নিয়ে যার যার ভোট করছে সবাই। কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলররাও ঘরে বসে নেই। সমানতালে প্রচারনা চালাচ্ছেন তারাও।

ভোটাররা বলছেন সুষ্ঠুৃ পরিবেশ ফেলে সৎ যোগ্য ও সব সময়ই পাশে পাবেন এমন প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে চান তারা।
এদিকে জেলার রামগঞ্জ ও রায়পুর উপজেলার ২০ টি ইউপি নির্বাচনে প্রচারণা চালাচ্ছেন প্রার্থীরা।  

এসব ইউনিয়নের ৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে নৌকার প্রার্থীসহ তিনজন, সাধারণ সদস্য ও মহিলা সদস্য পদে ১১ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। এছাড়া প্রতিটি ইউপিতে একাধিক প্রার্থী রয়েছে।  

বেশ কয়েকটি ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীও শক্ত অবস্থানে রয়েছে। এসব ইউনিয়নে প্রচারনায় বাধাসহ সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে অন্তত ২০জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। নির্বাচনী কার্যালয়ও ভাংচুর করার অভিযোগ উঠেছে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুরের পুলিশ সুপার ড. এ এইচ এম কামরুজ্জামান বলেন, নির্বাচনী এলাকায় এখনো শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বিরাজ করছে। কেউ বিশৃঙ্খলা করতে চাইলে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানান তিনি।

এদিকে জেলা প্রশাসক মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ জানান, সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের লক্ষে নির্বাচন কমিশন, পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে কাজ করছে। আচরণবিধি লঙ্গন হলেই জরিমানা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ২০-২৫ জন প্রার্থীর জরিমানা করায় পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক বলে মনে করছেন তিনি।

news24bd.tv/ কামরুল