আমরা যে শিক্ষায় বিনিয়োগের কথা বলি, শিক্ষাখাতে রাষ্ট্রীয় বাজেট বরাদ্দের বড় অংশ যায় বলে দাবি করি, সেটা আসলে কোথায় যায়! একজন শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন নিষ্কন্টক করতে তাকে আমরা কী ধরনের পৃষ্ঠপোষকতা, সুযোগ সুবিধা দেই! ঢাকার রাস্তায় ‘হাফ পাসের’ দাবিতে শিক্ষার্থীদের গত কয়েকদিনের আন্দোলনের খবর পড়তে পড়তে কথাগুলো মনে হলো।
শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমেছে বাস বাড়া অর্ধেক দেয়ার সুযোগের দাবিতে। আমাদের ছাত্রবেলায় এমন একটা ব্যবস্থা ছিলো বলে স্পষ্ট মনে পরে। ইন্টারমেডিয়েটে শিবপুর থেকে বাসে চড়ে কিছু দিন আমি জেলা সদরের নরসিংদী সরকারি কলেজে এসে ক্লাশ করেছি।
তখন আমরা ’স্টুডেন্ট’ বললেই কন্ডাক্টর হাফ ভাড়া নিতো। কখনো কখনো পরিচয়পত্র দেখতে চাইতো।সত্যি বলতে কী- ছাত্র অবস্থায় হাফ ভাড়ায় বাসে চড়ার কথাটা ভুলেই গিয়েছিলাম। ছাত্রদের আন্দোলন দেখে সেটি নতুন করে মনে পড়লো।
কানাডায় দেখি পাবলিক ট্রান্সপোর্টে ছাত্র এবং বয়স্কদের (সিনিয়র সিটিজেন) আলাদা ভাড়ার ব্যবস্থা আছে। এগুলো নিয়ে কথা বলতে হয় না, সিস্টেমই সব ঠিক করে রেখেছে। কানাডায় অবশ্য পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এখনো ব্যক্তিমালিকানায় ছাড়া হয়নি। ব্যক্তিমালিকানায় থাকলেও সরকার একটি নীতিমালা করে দিতে পারবে না- তা তো নয়। বিষয়টা হচ্ছে- আমরা কী চাই- সেটা আমাদের কাছে পরিষ্কার কী না।
আরও পড়ুন
হোটেলে ফ্রিজে পাশাপাশি কাঁচা মাংস ও পচা তরকারি!
গুরুত্বপূর্ণ ৭০ স্পটে ৪১১ সিসি ক্যামেরা
বিচারের দাবিতে নটর ডেম শিক্ষার্থীদের ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম
শিক্ষা নিয়ে, শিক্ষার্থীদের নিয়ে সত্যিই আমাদের আগ্রহ কিংবা আন্তরিকতা আছে কী না- তার প্রমান পাওয়া যায় শিক্ষা এবং শিক্ষার্থী বিষয়ক কোনো ইস্যূতে সরকার কতো দ্রুত সাড়া দেয়, কী পদক্ষেপ নেয়- তার উপর। শিক্ষাখাত সরকারের অগ্রাধিকার হারালে শিক্ষার্থীরা গুরুত্ব পাবেন কীভাবে!
লেখাটি শওগাত আলী সাগর -এর ফেসবুক থেকে নেওয়া (মত ভিন্নমত বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )
news24bd.tv/এমি-জান্নাত