হাসপাতালে যেমন আছেন খালেদা জিয়া

হাসপাতালে যেমন আছেন খালেদা জিয়া

অনলাইন ডেস্ক

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার রক্তবমি বন্ধ হচ্ছে না। অসুস্থ খালেদা জিয়ার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করতে হবে। এ ছাড়া এন্ডোসকপি ও ক্লোনসকপিসহ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দরকার। কিন্তু শারীরিক দুর্বলতার কারণে সেগুলোও করা সম্ভব হয়নি।

পরীক্ষাগুলো করা গেলে তার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে চিকিৎসার বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, বৃহস্পতিবার এমনটাই জানান খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকরা। এভারকেয়ার হাসপাতালের বিভিন্ন সূত্র ও বিএনপি নেতাদের কাছ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।  

টানা তিন দিন ধরে খালেদা জিয়ার রক্তবমি হচ্ছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানিয়েছেনবলেন, বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া অত্যন্ত ক্রিটিক্যাল অবস্থায় আছেন। তার রক্তবমি বন্ধ হচ্ছে না।

তাঁর শারীরিক অবস্থা মোটেও ভালো নেই। তিনি এতটাই অসুস্থ যে, তাঁকে দেশে আর চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব হবে না। সর্বোচ্চ চিকিৎসা প্রয়োগের পরও দেশের হাসপাতালে ম্যাডামের স্বাস্থ্যের অবস্থার কোনো উন্নতি হচ্ছে না। চিকিৎসকরা আজকেও তাঁকে বিদেশে পাঠানোর তাগিদ দিয়েছেন। কিন্তু সরকার অনুমতি দিচ্ছে না। খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে শুধু নয়, তাঁকে জীবন থেকে নিশ্চিহ্ন করতেও উঠেপড়ে লেগেছে সরকার।  

আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া ইস্যুতে সর্বোচ্চ সতর্কতায় সরকার

এর আগে দুপুরে এক সমাবেশে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে স্লো পয়জন দেওয়া হয়েছিল কি না আমরা জানতে চাই। খালেদা জিয়ার বয়স ৭৫ বছরের বেশি। তাঁকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দিতে এক-এগারোর সময়ে যে চক্রান্ত শুরু হয়েছিল, এর অংশ হিসেবে একটি সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে পুরান ঢাকার পরিত্যক্ত কারাগারে দুই বছরের বেশি সময় আটক রাখা হয়েছিল। স্যাঁতসেঁতে কারাগারের কক্ষে ইঁদুর, চিকা ঘোরাঘুরি করত। পরে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। সেখানে তাঁকে যথাযথ চিকিৎসা দেওয়া হয়নি।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমান বলেন, বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য ম্যাডামের পরিবারের পক্ষ থেকে সরকারের সর্বমহলে সর্বোচ্চ আবেদন করা হয়েছে। সব ধরনের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু সরকার নানা রকম আইনি দোহাই দিয়ে তাকে অনুমতি দিচ্ছে না। এটা তাকে হত্যা করার ষড়যন্ত্র বলে আমি মনে করি।

খালেদা জিয়ার সর্বশেষ অবস্থার বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি তার চিকিৎসকরা। তিনি ১৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি আছেন।

news24bd.tv/আলী