বাদ পড়া সেই মুশফিক-লিটনের ব্যাটেই স্বপ্ন

বাদ পড়া সেই মুশফিক-লিটনের ব্যাটেই স্বপ্ন

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টের প্রথম দিন শেষে বেশ ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ। ৪ উইকেট হারিয়ে স্কোরকার্ডে ২৫৩ রান তুলে প্রথম দিন শেষ করেছে তারা।

মুশফিকুর রহিম ও লিটন দাসের সামর্থ্য এবং যোগ্যতা নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। টেকনিক্যালি দুজনেই দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান।

বিপর্যয়ে হাল ধরার অনেক নজির আছে দুজনের। টেস্ট সিরিজে আস্থা রাখেন দুজনের ওপর। তার প্রতিদানও দেন লিটন ও মুশফিক। খাঁদের কিনারায় থাকা দলকে দুজনে রেকর্ড জুটি গড়ে নিয়ে যান শক্ত অবস্থানে।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে দুজনের অবিচ্ছিন্ন ২০৪ রানের জুটিতে চট্টগ্রাম টেস্টের প্রথম দিন ৪ উইকেটে ২৫৩ রান করেছে বাংলাদেশ। জুটি গড়ার পথে নান্দনিক ব্যাটিংয়ে ১১৩ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন লিটন। যা তার ২৬ টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি। দেশের সবচেয়ে সিনিয়র ও অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিক অপরাজিত রয়েছেন ৮২ রানে।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য সহায়ক ছিল। সেটি দেখেই টস জিতে ব্যাটিং নিতে ভুল করেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক। কিন্তু অধিনায়কের সিদ্ধান্তকে আরও একবার সঠিক প্রমাণ করতে ব্যর্থ বাংলাদেশের টপ অর্ডার। স্কোরবোর্ডে ৪৯ রান উঠতেই সাজঘরে ফিরে যান সাইফ হাসান, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক ও নাজমুল হোসেন শান্ত।  

সকালেই দ্রুত উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ দল যখন সর্ষে ফুল দেখছিল, তখনেই দৃশ্যপটে মুশফিক আর লিটন। দুজনে প্রথমে দেখেশুনে খেলতে থাকেন পাকিস্তানের বোলারদের। তবে একই সঙ্গে বাজে বল হলেই চুকিয়ে দিয়েছেন মূল্য। ঠান্ডা মাথায় এর মধ্যে দুজনে শেষ করেছেন প্রথম দিন।

আরও পড়ুন: 


ফখরুল বললেন, আন্দোলন-আন্দোলন-আন্দোলন

ধর্ষণ মামলায় জামিন: ক্ষমা চাইলেন বিচারক


 

২০১৯ সালে হ্যামিল্টনে সৌম্য সরকার-মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ করেছিলেন ২৩৫ রান। লিটন ১১৩ রানের অপরাজিত ইনিংসটি খেলেন ২২৫ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায়। ২৬ টেস্টে এটা তার প্রথম সেঞ্চুরি। দৃষ্টিনন্দন সেঞ্চুরির ইনিংসটি কিন্তু নিশ্চিদ্র ছিল না। ব্যক্তি ৬৭ রানের মাথায় সহজ জীবন পান লিটন। শাহীন আফ্রিদিকে পুল খেলেন লিটন। ডিপ মিড উইকেটে সাজিদ ফেলে দেন সহজ ক্যাচ। দলের স্কোর তখন ৬৫ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮৯ রান। ২৬ নম্বর টেস্টে লিটন প্রথম সেঞ্চুরি পান।

এর আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৯৪ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯৫ রানে আউটের রেকর্ড রয়েছে তার। মুশফিক অপরাজিত রয়েছেন ৮২ রানে। ১৯০ বলের ইনিংসটিতে রয়েছে ১০টি চার। ৭৬ টেস্ট ক্যারিয়ারে সাবেক অধিনায়কের এটা ২৪ নম্বর হাফসেঞ্চুরি। তার রান ৪৭৭৮। টেস্টে তামিম ইকবালকে টপকে বাংলাদেশের সর্বাধিক রানের মালিক হতে মুশফিকের চাই আর মাত্র ১১ রান। বাঁ-হাতি ওপেনার তামিমের রান ৪৭৮৮। তবে জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে তিনি এখন সর্বধিক রানের মালিক। ৮২ রানের ইনিংস খেলার পথে তিনি পেছনে ফেলেন টাইগার টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুলকে। ১৮ টেস্টে মুশফিকের রান ১২৭৬ এবং মুমিনুলের রান ১১ টেস্টে ১২০৩ রান।

news24bd.tv/আলী