নিজ দেশে রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার বিষয়ে এই প্রথম মুখোমুখি কোনো সাক্ষাৎকারে আশ্বাস দিলেন মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চি।
বৃহস্পতিবার জাপানের সংবাদমাধ্যম এনএইচকে-তে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অং সান সু চি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত নিতে কিছুটা সময় লাগবে। কারণ তাদের ব্যাপারে মিয়ানমারের অন্য মানুষের মনে যে গভীর বিদ্বেষ রয়েছে, সেটা দূর হতে কিছুটা সময় প্রয়োজন।
রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার বিষয়ে সু চি বলেন, রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার জন্য দুই পক্ষকেই সমানভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী আমরা ফরম দিয়েছিলাম শরণার্থীদের মধ্যে বিতরণের জন্য, যেগুলো পূরণ করে দেয়ার কথা। কিন্তু সেভাবে ফরমগুলো বিতরণ করা হয়নি।
কত দ্রুত রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়া সম্ভব হবে এমন প্রশ্নের জবাবে সু চি বলেন, এই বিষয়টি যতটা আমাদের ওপর নির্ভর করছে, ঠিক ততটা বাংলাদেশের ওপরও। এটা হচ্ছে একটি দ্বিমুখী বিষয়।
গত বুধবার রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে প্রত্যাবর্তন বিষয়ে মিয়ানমার ও জাতিসংঘের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সু চি বলেন, চুক্তিতে শরণার্থীদের ব্যাপারে যেসব দায়িত্ব গ্রহণ করা উচিত তার সবই আমরা গ্রহণ করেছি।
মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক বাস্তবতা নিয়ে জানতে চাইলে সু চি বলেন, মিয়ানমারে সামরিক প্রভাব এখনো শক্তিশালী। পার্লামেন্টের ২৫ শতাংশ আসন এখন পর্যন্ত জেনারেলদের জন্য সংরক্ষিত থাকে। আসলে আমরা এখনো পুরোপুরি গণতান্ত্রিক দেশ হয়ে উঠতে পারিনি। আমাদের সংবিধানও পুরোপুরি গণতান্ত্রিক নয়।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কেআই)