প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাঙচুর করা শিক্ষার্থীদের কাজ নয়, এটা কেউ করবেন না। দয়া করে যে যার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে যান, লেখাপড়া করুন। আর যারা দোষী, অবশ্যই তাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার (১ ডিসেম্বর) সকালে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল এবং ধানমন্ডি-২৭ নম্বরে জয়িতা টাওয়ারের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না। আমি চালকদেরও বলবো, গাড়ি সতর্কভাবে চালাতে হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অনেক সতর্ক। সঙ্গে সঙ্গে দোষীদের খুঁজে বের করা হয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, আমি ছাত্র-ছাত্রীদের বলবো, দুর্ঘটনায় ছাত্র যে মারা গেছে- সেটা দুঃখজনক। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিনের জন্য বন্ধ ছিল। শিক্ষা ব্যবস্থা যাতে চালু রাখার জন্য আমরা বিভিন্ন ব্যবস্থা করেছি। এখন সমস্ত স্কুল-কলেজগুলো খুলে গেছে। সাবাইকে এখন পড়াশোনা করতে হবে। তাদের স্কুলে ফিরে যেতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যতে গাড়ি ভাঙচুর, আগুন দেওয়া... যারা করবে, তাদেরও শাস্তি দেওয়া হবে। যে গাড়িতে আগুন দেওয়া হবে, সে গাড়িতে যদি কেউ মারা যায় বা পোড়ে, তাহলে এ ক্ষেত্রেও কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।
সিটি কর্পোরেশনের গাড়ির ধাক্কায় মারা যাওয়া নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি এই রহস্য বুঝলাম না, দক্ষিণে মারা গেল এর পরের দিন উত্তরে মারা গেল কেন! এর কারণটা কী? এই কারণটা এবং এর জন্য কারা দায়ী খুঁজে বের করতে হবে। যখন ময়লার গাড়ি যাচ্ছিল তখন তার সামনে দিয়ে কেউ হেঁটে যাবে কেন, সেটাও দেখতে হবে। গাড়ি যে চালাচ্ছিল, এই গাড়ি চালানোর মতো দক্ষতা তার আছে কি না সেটাও বিবেচনা করতে হবে। উভয় দিকে দায়িত্বশীলতা কার কতটুকু আছে সেটা আমাদের দেখতে হবে।
আরও পড়ুন
বিদেশে পালাতে চেয়েছিলেন মেয়র আব্বাস
news24bd.tv এসএম