একটা মাত্র জীবন, অন্যকে নিয়ে আর কত টেনশন করবেন?

রাখি নাহিদ

একটা মাত্র জীবন, অন্যকে নিয়ে আর কত টেনশন করবেন?

অনলাইন ডেস্ক

মানুষের আনন্দ হচ্ছে মেয়েদেরকে অসহায় নির্যাতিতা দেখার মধ্যে। মেয়েরা চামড়া পুড়ায়ে রান্না করবে, বাচ্চা পালতে পালতে কাহিল হয়ে যাবে, আনম্যানেজেবল কাপড় চোপড়ের নিচে চাপা পড়ে থাকবে, সবার খাওয়া শেষ হলে তলানিতে পড়ে থাকা খাবার খাবে, সবার আগে ঘুম থেকে উঠবে, সবার পরে ঘুমাতে যাবে।  

এইসব দেখাও একটা আনন্দ। ইনডিপেন্ডেন্ট, সেলফরেস্পেক্টওয়ালা মেয়ে দেখলে এই সোসাইটির বদ হজম হয়ে যায়।

নিজের মত কোন মেয়ে বাঁচতে পারছে এটা দেখাটা অনেকের জন্য কোষ্ঠকাঠিন্যের মত পেইনফুল।  

এইজন্য হাতে পায়ে বড় না হতে হতেই, পড়ালেখা শেষ হতে না হতেই ঘরের মানুষের থেকে বাইরের বেশী মানুষের চিন্তা শুরু হয় - এই ধ্যারাইঙ্গা মেয়ের বিয়ে দেয়না না কেন এর বাপ মা? বিয়ে হলে শুরু হয়, বাচ্চা নেয়না ক্যান? 

আর কোন ডিভোর্সি মেয়ে যদি ইন্ডিপেন্ডেন্ট হয় তাহলে তো কথাই নাই। স্বামী ছাড়া আছে কিভাবে একা এই চিন্তায় পাড়াপ্রতিবেশীর ঘুম হারাম।  

কোন মেয়ে যদি বিয়ে বাচ্চা স্বামী সংসার সব সামলেও পারফেক্ট থাকে, আনন্দে থাকে তাহলেও সমস্যা আছে।

একদল বলবে সব ভান, খোঁজ নিয়ে দেখেন সংসারে ঝামেলা ঠিকই আছে।

কোন মেয়ে যদি কারো উপর নিরভরশীল না হয়ে নিজের ইচ্ছা মত বাঁচে, নিজের পছন্দের কাপড় পরে, নিজের পয়সায় বাড়ি গাড়ি কেনে এবং কোন ভাবেই যদি তার কোন প্রত্যক্ষ দোষ না পাওয়া যায় তাহলে শেষ অস্ত্র - এই মেয়ের চালচলন ঠিক নাই, এই মেয়ে নিশ্চয়ই দুই নাম্বার।  

অফিসে উন্নতি হলে - আরে এমনে এমনেই উন্নতি হয় নাকি, বস এর সাথে নিশ্চয়ই সিস্টেম আছে।  

এই হচ্ছে মেয়েদের অবস্থা।  

একটা মাত্র জীবন পাড়া প্রতিবেশী ডিসাইড করে দেয় কতটুকু পড়তে হবে, কবে বিয়ে করতে হবে,বাচ্চা কখন এবং কয়টা নিতে হবে, কি কাপড় পরতে হবে।  

এই যেমন আমি এখন স্বামীকে রেখে বিদেশ আছি। এতে অনেকের চিন্তা- ঘটনাটা কি ? স্বামী বাচ্চা দেখে ফেলে রেখে বিদেশে পড়ে আছে কেন? হাজবেন্ড এর সাথে ঝামেলা ? ডিভোর্স হইসে ? কুচ তো গারবার হ্যায় দায়া। ডাল মে জরুর কুচ কালা হ্যায়।  


আরও পড়ুন:

বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে কটূক্তি, কাটাখালীর মেয়র আটক

শুরু হলো মহান বিজয়ের মাস

আজ থেকে ঢাকার গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের ভাড়া অর্ধেক কার্যকর


আমারে নিয়ে এইসব চিন্তায় যাদের ঘুম হারাম তাদের আজকে উত্তর দিয়েই দেই।  

- আমি চিল করতে বিদেশ আসছি। স্ত্রী হলে, মা হলেই চিল করা যাবেনা এমন কোন কথা কোন কিতাবে লেখা নাই। যখন সংসার করার দরকার ছিল তখন মনোযোগ দিয়ে সংসার করসি।  

এখন কিছুদিন চিল করব। এরপর ইচ্ছা হলে গ্রামে যেয়ে হাঁস মুরগীর খামার দিব। তারপর ইচ্ছা হলে গেরুয়া পরে সন্যাসিনি হয়ে বনে চলে যাবো।  

আপনারাও আমাকে নিয়ে চিন্তা না করে চিল করেন। একটা মাত্র জীবন, অন্যকে নিয়ে আর কত টেনশন করবেন? 

চিল করেন, চিল...

লেখাটি রাখি নাহিদের ফেসবুক থেকে নেওয়া (মত ভিন্নমত বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )

news24bd.tv নাজিম