একটি বিয়ের সেন্টার থেকে দুই জন বাবুর্চির লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সিলেটের কানাইঘাটে আজ বুধবার সকাল ৭টার দিকে উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের গাছবাড়ী বাজারস্থ ‘আনন্দ কমিউনিটি সেন্টার’ থেকে ওই দুই বাবুর্চির লাশ উদ্ধার করা হয়। গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে আরেকজন বাবুর্চিকে। এদিকে জোড়া লাশ উদ্ধারের ঘটনায় রহস্য দেখা দিয়েছে।
নিহতরা হলো- কানাইঘাট উপজেলার নয়াগ্রামের মৃত রহমত উল্লাহ’র ছেলে সুহেল আহমদ (২৮) ও ওসমানীনগর উপজেলার তাহিরপুর গ্রামের মৃত আক্কাছ আলীর মেয়ে সালমা বেগম (৪০)। অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার হওয়া বাবুর্চি হলেন কানাইঘাট উপজেলার ব্রাহ্মণগ্রামের নাজিম উদ্দিন। তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানের রান্না করার জন্য আনন্দ কমিউনিটি সেন্টারে যান সুহেল আহমদ, সালমা বেগম ও নাজিম উদ্দিন।
আরও পড়ুন
দক্ষিণ কোরিয়ায় ৬৯ ছাত্রের বিরুদ্ধে কিশোরীকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণের অভিযোগ
কুয়েট শিক্ষকের রহস্যজনক মৃত্যু, তদন্ত চেয়ে শিক্ষার্থীদের অবস্থান
পরে ভেতর থেকে সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে তিনজনকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এসময় পুরো রুম ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন ছিল। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সুহেল ও সালমাকে মৃত ঘোষণা করেন। আর উন্নত চিকিৎসার জন্য ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয় নাজিমকে।
পুলিশের ধারণা মশার কয়েল জ্বালিয়ে ছোট একটি রুমে তিনজন ঘুমিয়ে ছিলো। ধোঁয়া ও কয়েলের বিষাক্ততার কারণে তারা মারা যেতে পারেন।
কানাইঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক জানান, ‘কী কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা ময়নাতদন্ত রিপোর্ট আসার পর নিশ্চিত হওয়া যাবে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে- ধোঁয়া ও কয়েলের বিষাক্ততা থেকে তাদের মৃত্যু হতে পারে।
news24bd.tv/এমি-জান্নাত