কানাডার প্রধানমন্ত্রী অসৎ ও দুর্বল: ট্রাম্প

কানাডার প্রধানমন্ত্রী অসৎ ও দুর্বল: ট্রাম্প

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

শিল্পোন্নত দেশগুলোর সম্মেলন জি-সেভেন শুরু হওয়ার আগেই মতানৈক্যের সুর শোনা গিয়েছিল শেষটাও হলো একই ধারাবাহিকতায়। আর শনিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর বিরুদ্ধে ‘মিথ্যা বিবৃতি’র অভিযোগ তোলার মধ্য দিয়ে এটি পরিপূর্ণতা পেলো। একইসঙ্গে জি-সেভেনে গ্রুপের সম্মিলিত বিবৃতিও যুক্তরাষ্ট্র সই করবে না বলে জানিয়েছেন। খবর সিএনএন, বিবিসির।

সম্মেলন শেষে সংবাদ সম্মেলনে কানাডা প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, সাত দেশের যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করতে পেরে আমি আনন্দিত। কিন্তু এরপরই ট্রাম্প জানান যে, যুক্তরাষ্ট্র তাদের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করবে এবং ওই বিবৃতিতে সই করবে না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করেন, অন্যান্য দেশগুলো যুক্তরাষ্ট্রের ওপর ‘বিশাল শুল্কারোপ’ করছে।

শুধু তাই নয় টুইটে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে একহাত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

তিনি তার টুইটে লিখেন, সংবাদ সম্মেলনে জাস্টিনের মিথ্যা বিবৃতির ভিত্তিতে এবং কানাডা যে আমাদের কৃষক, শ্রমিক ও কোম্পানিগুলোর ওপর বিশাল শুল্ক বসিয়েছে, আমি সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদের বলেছি তারা যেন বিবৃতিতে স্বাক্ষর না করে কেননা আমরা যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে অটোমোবাইলের ওপর শুল্ক বসাতে যাচ্ছি।

পরে আরেক টুইট বার্তায় ট্রাম্প লিখেন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো আমাদের জি-সেভেন বৈঠকে খুব বিনম্র ও কোমল আচরণ করেছে। কিন্তু আমি সম্মেলন ছাড়ার পর সংবাদ সম্মেলনে সে বলছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক অপমান করার মতো’ এবং তার সঙ্গে ‘কঠোর ব্যবহার করা হবে না’। খুবই অসৎ এবং দুর্বল। তার জবাবে কানাডার দুগ্ধজাত পণ্যের ওপর আমরা ২৭০ শতাংশ শুল্ক বসাচ্ছি।

উল্লেখ্য, গেলো ১ জুন ইউরোপীয় ইউনিয়ন, কানাডা ও মেক্সিকো থেকে স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু জি-সেভেনে যৌথ বিবৃতিতে ‘নিয়মভিত্তিক বাণিজ্য ব্যবস্থার’ সুপারিশ করা হয়েছে। আর তাই হয়তো চটেছেন যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যিক বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন এমন অভিযোগ তোলা ট্রাম্প।

 

(নিউজ টোয়েন্টিফোর/কেআই)

সম্পর্কিত খবর