কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন শিক্ষক সমিতির

কুয়েট শিক্ষকের মৃত্যু: একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন শিক্ষক সমিতির

Other

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) শিক্ষক ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবিতে একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করেছে শিক্ষক সমিতি। একই সাথে ঘটনায় দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্তদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে ক্যাম্পাসে দুর্বার বাংলার পাদদেশে শিক্ষকদের প্রতিবাদ সভায় এ দাবির কথা জানান শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ। এর আগে সকালে সাড়ে ১০টায় শিক্ষকরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে সমবেত হন এবং অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

এরপর বেলা সোয়া ১১টায় শিক্ষকরা প্রতিবাদ র‌্যালি বের করেন। বেলা সাড়ে ১১টায় দুর্বার বাংলা চত্বরে প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রতীক চন্দ্র বিশ্বাস।

শিক্ষকরা বলছেন, ড. মো. সেলিম হোসেনের মৃত্যু কোন অবস্থায় স্বাভাবিক ঘটনা নয়।

তাকে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত করার মধ্যে দিয়ে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একটি ছাত্র সংগঠনের কিছু শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসে ড. সেলিম হোসেনের গতিরোধ করে। পরে ওই শিক্ষককে তড়িৎ প্রকৌশল ভবনে তার ব্যক্তিগত কক্ষে এনে আনুমানিক আধা ঘণ্টা রুদ্ধদার বৈঠক করে। এরপর সেলিম হোসেন দুপুরের খাবারের জন্য বাসায় যান। দুপুর আড়াইটার দিকে তার স্ত্রী লক্ষ্য করেন, সেলিম হোসেন বাথরুম থেকে বের হচ্ছে না। এরপর দরজা ভেঙ্গে তাকে উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

শিক্ষকরা জানান, সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে অভিযুক্ত ছাত্রদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিস্কারের দাবি জানানো হয়েছে। এছাড়া তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে তাদের স্থায়ী বহিষ্কার না হওয়া পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়।

আরও পড়ুন


‘বন্দুকযুদ্ধে’ প্রধান আসামির মৃত্যু: মিষ্টি বিতরণ ও ঝাড়ু মিছিল

news24bd.tv এসএম