দুশ্চিন্তা করে লাভ নেই, বিজ্ঞানীরাই ভরসা: তসলিমা নাসরিন

তসলিমা নাসরিন

দুশ্চিন্তা করে লাভ নেই, বিজ্ঞানীরাই ভরসা: তসলিমা নাসরিন

Other

এ মাসেই, সম্ভবত সামনের সপ্তাহেই এক বিশাল এস্টরয়েড আসছে পৃথিবীর দিকে। কতই তো এস্টরয়েড এদিকে আসে, নাসার বিজ্ঞানীরা সেগুলোর দিক পরিবর্তন করে দেন অথবা ভেঙে টুকরো করে দেন, যেন টুকরোগুলো পৃথিবীতে ছিটকে পড়লে ভয়াবহ আঁধারে পৃথিবী ঢেকে না যায়। সহস্র কোটি বছরে বড় বড় এস্টরয়েড তো কতই পড়েছে পৃথিবীতে।

একবার এর কালো ধোঁয়া আকাশে ছড়িয়ে গিয়ে সূর্যকে ঢেকে দিয়েছিল, আলো না পেয়ে পৃথিবীর সমস্ত প্রাণী, সমস্ত উদ্ভিদ, এমনকী ডায়নোসরের মতো অতিকায় জীবও নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল।

তেমন যে আবার হতে পারে না তা তো নয়।

যতদিন এস্টরয়েডের আকার কেমন, গতি কেমন, কত দ্রুত আসছে সে আমাদের দিকে, কবে আসছে-- এসব গবেষণা করার বিজ্ঞানী আছেন, এস্টরয়েড ভেঙে দেওয়ার মেশিন আছে, ততদিন আমরা নিশ্চিন্তে জীবন যাপন করতে পারি। কিন্তু নাসার বিজ্ঞানীরাও যদি কপাল কুঁচকে ভাবতে থাকেন কী করা যায়, অস্থির পায়চারি করেন ঘরময়, প্রেসিডেন্টকে ফোন করেন, তখন তো আমাদের মতো সাধারণ মানুষও ঘাবড়ে যায়। যাওয়ারই কথা।

একজন বললো, এস্টরয়েড পড়ে পৃথিবী ধ্বংস হবে, এটি দুঃখের খবর। কিন্তু সুখের খবর হলো, অন্তত এই কোভিড অতিমারি মহামারিটা দূর হবে। তা ঠিক, দূর হবে। আমরাই দূর হবো, কোভিড আর থেকে কাকে খাবে।

না, দুশ্চিন্তা করে কোনও লাভ নেই। বিজ্ঞানীরাই ভরসা। তাঁরাই বাঁচাবেন।

আরও পড়ুন:


ফেসবুকে মন্ত্রীর পোস্ট, ‘মন চাইছে আত্মহত্যা ক‌রি’


news24bd.tv/ তৌহিদ