বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ তার শক্তি ধীরে ধীরে হারিয়ে ফেলছে। এরইমধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি ক্রমান্বয়ে দুর্বল হতে পারে। তবে ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আরও দুদিন দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।
এমন তথ্যই দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।আবহাওয়া অফিস চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে। একইসঙ্গে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলেছে।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-১৩) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি আরও উত্তর ও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে।
এতে আরও বলা হয়, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বাড়ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।
আরও পড়ুন:
চট্টগ্রামেও হাফ ভাড়া নেওয়ার ঘোষণা
লকডাউন দেয়ার বিষয়ে যা জানালেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী
বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, নিম্নচাপটির অগ্রবর্তী অংশের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে এবং বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে। উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঘণ্টায় ৪০ থেকে ৫০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ী দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।
news24bd.tv নাজিম