মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আনোয়ার হোসেন (৪২) গ্রেফতার এড়াতে ১১ বছর দেশের বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিলেন। কিন্তু এত কিছু করেও শেষ রক্ষা হলো না তার। অবশেষে বরিশালের ব্যবসায়ী সুলতান বাদশা (৫০) হত্যার দায়ে তাকে সাভার থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এতবছর পরিচয় গোপন করতে তিনি বিভিন্ন ছদ্মনাম ব্যবহার করতেন।
সোমবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেলে আদালতের মাধ্যমে আনোয়ার হোসেনকে বরিশাল কারাগারে পাঠানো হয়।
কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহমান মুকুল এই বিষয়ে বলেন, ২০১০ সালের ২ জুন চরবাড়িয়া এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী সুলতান বাদশাকে নগরীর পোর্ট রোড থেকে অপহরণ করা হয়। তিনদিন পর ৫ জুন ঘটনাস্থল থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে চরবাড়িয়া এলাকায় কীর্তণখোলা নদীর নুতনচরে তার ক্ষতবিক্ষত মরদেহ পাওয়া যায়। ২০১৩ সালের ১১ নভেম্বর বরিশালের আদালত সুলতান বাদশা হত্যা মামলায় ছয় আসামির মধ্যে আনোয়ার হোসেন, মো. বশির ও মো. ইউনুসকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ এবং বাকি তিনজনকে খালাস দেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি মো. ইউনুস উপস্থিত থাকলেও আনোয়ার হোসেন ও মো. বশির পলাতক ছিলেন।
আরও পড়ুন:
সিএনএনের সংবাদ উপস্থাপক বরখাস্ত
চট্টগ্রামেও হাফ ভাড়া নেওয়ার ঘোষণা
ওসি আব্দুর রহমান মুকুল আরও বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর এতবছর আনোয়ার ছদ্মনামে চট্টগ্রাম ও রাঙ্গামাটিসহ বিভিন্ন জায়গায় আত্মগোপনে ছিলেন। সর্বশেষ এক বছর আগে শরিফুল নাম ধারণ করে আনোয়ার হোসেন সাভারের আশুলিয়া এলাকায় একটি ফার্নিচারের দোকানে বার্ণিশ মিস্ত্রির কাজ করে আসছিলেন। গোপন সূত্রে তার অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে রোববার রাতে তাকে গ্রেফতার করে কাউনিয়া থানা পুলিশ।
news24bd.tv/আলী