যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সরকারের সমালোচনা করে যা বললেন রেজা কিবরিয়া 

যুক্তরাষ্ট্র সফররত রেজা কিবরিয়াকে নিউইয়র্কবাসীর পক্ষ থেকে গণসংবর্ধনা

যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে সরকারের সমালোচনা করে যা বললেন রেজা কিবরিয়া 

অনলাইন ডেস্ক

মানুষ জেলে গেলে তাদের ইলেকট্রিক শক দিয়ে মেরে ফেলা হয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক ড. রেজা কিবরিয়া।

তিনি বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা দেশে খুবই বিপদে আছি। একটা অগণতান্ত্রিক সরকার ক্ষমতায় এবং সবাইকে বিভিন্ন জুলুম-নিপীড়ন সহ্য করতে হচ্ছে। গুম-হত্যার এই রাজনীতি আওয়ামী লীগ গত ৮ বছরে এনেছে।

৫ ডিসেম্বর রোববার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্র সফররত রেজা কিবরিয়াকে নিউইয়র্কবাসীর পক্ষ থেকে গণসংবর্ধনা দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদ (বাপ্রঅপ)।

গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক আজাদ আহমেদ পাটওয়ারির সভাপতিত্বে ও বাপ্রঅপের সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সাত্তার পলাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়।

‘বাংলাদেশ গণঅধিকার পরিষদ’র প্রধান রেজা কিবরিয়া বলেন, সে সময় নিউইয়র্কে বাংলাদেশির সংখ্যা ৩/৪ জনও ছিল না।

এখনতো মনে হতেই পারে যে, এটাও একটা বাংলাদেশ। এত দীর্ঘ সময় ধরে যুক্তরাষ্ট্রে এত আরামে বসবাস করা স্বত্বেও দেশের জন্যে চিন্তা করছেন- তা জেনে খুব খুশি হচ্ছি। তবে এদেশের (যুক্তরাষ্ট্র) পলিটিক্সে জড়িত থাকা খুবই প্রয়োজন ও গুরুত্বপূর্ণ আমাদের দেশের স্বার্থে। আমাদের দেশের পরিস্থিতির ওপরে একটা প্রভাব আপনারা ফেলতে পারবেন যদি ডেমোক্র্যাটিক পার্টি অথবা রিপাবলিকান পার্টির নেতৃত্বের সাথে আপনাদের ভালো সম্পর্ক রচিত হয়।

রেজা কিবরিয়া বলেন, দেশের জন্যে আমার বাবা (শাহ এ এম এস কিবরিয়া) অনেক কিছু করেছেন, আন্তরিকতার সাথে আরও কিছু করতে চেয়েছিলেন। ওনার খুব শখ ছিল সিলেটের নবীগঞ্জ-বাহুবলের এমপি হওয়ার। ২০১৮ সালে আমি তার স্বপ্ন পূরণের চেষ্টা করেছি। কিন্তু সেটি তো কোনো নির্বাচন ছিল না। ১৭৫টির মধ্যে প্রায় ১৫০টি ভোট কেন্দ্র দখল করে নেওয়া হয় সকাল ১১টার মধ্যে। এতদস্বত্বেও আমি ৮৬ হাজার ভোট পেয়েছি। সেটি অনেক ভোট। কিন্তু তারা ব্যালট বাক্স জালিয়াতি করে নির্বাচনটা বানচাল করলো। সেই নির্বাচনে খুলনার এক জায়গায় ১০৪ শতাংশ ভোট পড়েছিল। এতেই বুঝতে পারছেন কত সুষ্ঠু হয়েছে সেই নির্বাচন।

রেজা কিবরিয়া আরও বলেন, এবার আমেরিকায় এসেছি আমাদের সাংগঠনিক কাজে। আমি খুশি হয়েছি যে নিউইয়র্কে এত সুন্দর একটা মিটিং করতে পারছি। নিউজার্সিসহ বেশ কয়েকটি স্থানে সভা করেছি। সাংগঠনিক আরও কাজ করা দরকার। ভবিষ্যতে আমরা বিভিন্ন স্টেটে কমিটি দেব। আপনারা এগিয়ে আসবেন কমিটি গঠনে। এরপর আমরা যুক্তরাষ্ট্রে বড় একটি সাংগঠনিক কমিটি করবো। তবে এটা ‘প্রবাসী অধিকার পরিষদ’ নয়, আমাদের গণঅধিকার পরিষদের কমিটি হবে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল পরিচালনা বিধিতে বিদেশে সরাসরি শাখা খোলার সুযোগ নেই। সেজন্য সমর্থক গ্রুপ তৈরি করতে হবে যুক্তরাষ্ট্রে।  

বাংলাদেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা নেই অভিযোগ করে রেজা কিবরিয়া বলেন, ‘মানুষ স্বস্তি চায়। করোনার তাণ্ডবের চেয়েও ভয়ঙ্কর একটা পরিস্থিতির মধ্যে নিপতিত গোটা বাংলাদেশ। আমরা মাঠে নেমেছি শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের সাথে সমগ্র জনগোষ্ঠীকে একীভূত করতে। তাহলেই গণতান্ত্রিক শূন্যতা দূর করা সম্ভব হবে। ’

news24bd.tv/তৌহিদ