ডা.মুরাদ: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী পদ থেকেও সরিয়ে দেয়া হয়েছিল

ফাইল ছবি

ডা.মুরাদ: স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী পদ থেকেও সরিয়ে দেয়া হয়েছিল

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকারের তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও জামালপুর-৪ আসনের সংসদ সদস্য ডা.মুরাদ হাসান এখন দেশজুড়ে তুমুল বিতর্কিত একটি নাম। একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্য এবং ফেসবুক লাইভে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য এবং অডিও ফাঁস হয়ে আলোচনা-সমালোচনায় অবশেষে তাকে পদত্যাগের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গতকাল সোমবার রাতে পদত্যাগের বিষয় নিশ্চিত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

জানা গেছে, ছাত্রদল নেতা থেকে আওয়ামী লীগের প্রতিমন্ত্রী বনে যান এই বিতর্কিত নেতা।

সম্প্রতি একের পর এক বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে আলোচনায় ছিলেন ডা. মুরাদ হাসান । বিভিন্ন সময় আলোচনা-সমালোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিলেন তিনি।

তবে এর আগে সংসদ সদস্য এবং জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফীকে নিয়ে চিকিৎসকদের সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করে স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী থেকে সরিয়ে ডা. মুরাদকে তথ্য প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব দেয়া হয়।

ঘটনা দুই বছর আগের।

সে সময় এক ঝটিকা সফরে নড়াইল সদর হাসপাতাল যান নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মুর্তজা। বিনা ছুটিতে চার চিকিৎসক অনুপস্থিত থাকায় চিকিৎসককে প্রথমে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন ম্যাশ। এই ঘটনার পর জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফিকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ট্রল করতে থাকেন চিকিৎসকরা। পরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে এই বিষয়ে চিকিৎসকদের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেন ডা. মুরাদ।

সেসময় ডাক্তারদের উদ্দেশ করে তিনি বলেন, ‘একজন মাশরাফি সৃষ্টি করতে পারবেন! পারবেন আপনারা? হতে পারবেন নাকি জাতীয় দলের ক্যাপ্টেন। হতে পারবেন একজন জাতীয় ডাক্তার! হয়ে প্রমাণ করেন যে, আপনি জাতীয় ডাক্তার তাই মাশরাফিকে নিয়ে কথা বলার যোগ্যতা রাখেন। পারবেন না তো। ’

আরও পড়ুন: 


 

বিএনপি-আ. লীগ দুই আমলেই তিনি ছিলেন সর্বোচ্চ সুবিধাভোগী


পরে তার এমন বক্তব্যের প্রেক্ষিতে চিকিৎসক সমাজ এবং সমাজের নানা পর্যায়ে বিপরীতমুখী প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। এরপরে ডা. মুরাদ হাসানকে স্বাস্থ প্রতিমন্ত্রীর সরিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব দেয়া হয়।

news24bd.tv রিমু