দেশব্যাপি সমালোচনার মুখে সদ্য পদত্যাগ করা ডা. মুরাদ হাসান আত্মগোপনে রয়েছেন। বন্ধ রেখেছেন মোবাইল ফোন, এমনকি তার ভেরিফাইড ফেইসবুক আইডিও।
সম্প্রতি ফেসবুক লাইভে এক অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমান ও নাতনি জাইমা রহমানকে নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন ডা. মুরাদ হাসান। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের নেত্রীদের নিয়েও আপত্তিকর ও কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের অভিযোগ ওঠে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বিরুদ্ধে।
ডাক্তার মুরাদ হাসান রাজধানীর ধানমন্ডির চারতলার একটি বাড়িতে নিজের দুটি ফ্লাটে সপরিবারে গত এক বছর ধরে থাকতেন। তিনতলার একটি ফ্লাটে ছিল তার ব্যক্তিগত অফিস। প্রতিদিন অনেক নেতাকর্মী তার সাথে দেখা করতে আসলেও এখন সেই বাড়ির নীচে নেই দর্শনার্থীদের ভিড়।
সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা জানান, 'ডা. মুরাদ হাসান সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে এগারোটায় বাসা থেকে বের হওয়ার পর আর ফিরে আসেন নি। নিজেই তো এই বাসায় এখন আর আসতে চাইবেন না। '
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তিনি প্রতিমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এর কিছু পরেই নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে নারীদের প্রতি অশালীন বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চান। তবে এরপর থেকে তার ফেসবুক পেইজটিও বন্ধ। এছাড়া বারবার মুঠোফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি তাকে।
বেপরোয়া ডা. মুরাদ: দলের কৃপা না পেলে এমপি পদও হারাতে পারেন
এদিকে তুমুল সমালোচনার মধ্যে প্রতিমন্ত্রী থেকে পদত্যাগ করার পর তার বাসার সামনে থেকে সরিয়ে ফেলা হয় জাতীয় পতাকা। তবে পতাকা নামিয়ে ফেলা হলেও নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা এখনও বহাল আছেন।
news24bd.tv রিমু