থানার পাশে ছাত্রদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ 

সংগৃহীত ছবি

ছাত্রলীগের ৪ নেতাকর্মী আটক

থানার পাশে ছাত্রদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ 

অনলাইন ডেস্ক

ফারুক হোসেন (২৫) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ছাত্রলীগের ৪ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। নিহত ফারুক হোসেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে জয়পুরহাটের  পাঁচবিবি থানার পাশের পার্কে এই ঘটনা ঘটে।

আটককৃতরা হলেন- পাঁচবিবি মহিপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও ধুরইল গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের ছেলে মো. মাহমুদুল হাসান (৩০), উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জাম্বুবান গ্রামের আজিজুল ইসলামের ছেলে মো. আরিফুল ইসলাম (২৮), একই গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে মো. আনিসুর রহমান (৫০) এবং ধুরইল গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে মো. মুজাহিদুল ইসলাম (২৮)।

আটককৃতরা হলেন মহিপুর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সম্পাদক মাহমুদুল হাসান, উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক আরিফুল ইসলাম ও যুবলীগ নেতা আনিছুর রহমান শিপন।  

আরও পড়ুন:


রায়ের পর আবরার ফাহাদের মা যা বললেন!


 

জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানা বিএনপি কার্যালয়ে  যুবলীগ নেতা শিপনের সঙ্গে বাদ-বিতণ্ডার জেরে বিএনপি নেতা ডালিমের মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেয়ল সেই ঘটনার পর থানায় মামলা করতে আসেন বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতারা। এ সময় থানার পাশে পার্কের সামনে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের ৮ থেকে ১০ জনের একটি দল বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাদের ধাওয়া করে।

ওই সময় ছাত্রদল নেতা ফারুক ধাওয়ায় মধ্যে পরে গেলে ছাত্রলীগের পিটুনিতে গুরুতর আহত হন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বুধবার সকালে  সে হাসপাতালে মারা যায়।  

পাঁচবিবি থানা বিএনপির আহ্বায়ক মো. সাইফুল ইসলাম ডালিম বলেন, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমাদের নেতাকর্মীদের মাঝে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে অনেকেই চলে যান। এসময় দেখি পৌর পার্কের সামনে রাখা আমার মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে আগুন দেওয়া হয়েছে। যারা আগুন দিয়েছে তাদেরকে আমাদের নেতাকর্মীরা চিনে ফেলে। এ ঘটনায় রাত ১২টার দিকে থানায় অভিযোগ দেওয়ার জন্য আমরা সেখানে অবস্থান করছিলাম।

এ সময় হঠাৎ কয়েকজন এসে ছাত্রদল নেতা ফারুককে মেরে আহত করে। ফারুক দৌড়ে পালাতে গিয়ে রাস্তায় পড়ে যায়। তখন আহত অবস্থায় ফারুককে উদ্ধার করে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পাঁচবিবি থানার ওসি পলাশ চন্দ্র দেব জানান, ওই ঘটনার পরই ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের পরিবারের পক্ষে মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

জয়পুরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপরাধ) তরিকুল ইসলাম বলেন, মারধরের ঘটনার পর আমরা ঘটনাস্থলের ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। ফুটেজ যাচাই করে চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতির চলছে।

news24bd.tv/আলী