কাতারে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস উদযাপন

কাতারে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস উদযাপন

অনলাইন ডেস্ক

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ ও ভারতের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ৬ ডিসেম্বর সোমবার কাতারের বাংলাদেশ অ্যাম্বাসি ও ভারত অ্যাম্বাসি  যৌথভাবে কাতারের রাজধানী দোহার রেডিসন ব্লু হোটেলে জমকালো আয়োজনের মাধ্যমে উদযাপন করেছে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী দিবস।  

অনুষ্ঠানের শুরুতে ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহিদের স্মরণ করা হয়। এ সময় আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম, ১৯৭১ সালে সংঘটিত গণহত্যা, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং এতে ভারতীয় সহায়তা, বিশ্ব মিডিয়ায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে প্রচারণা, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জনে তৎকালীন ভারত সরকারের ভূমিকা এবং স্বাধীনতা পরবর্তী দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও উন্নয়ন সহযোগিতা তুলে ধরা হয়। এছাড়া  অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের উন্নয়নের সূচনা এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রা এবং বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে বক্তব্য রাখেন দুই দেশের রাষ্ট্রদূত।

 

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন এনডিসি, ভারতের দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত ড. দীপক মিত্তাল বক্তব্য প্রদান  করেন।  

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা, স্বাধীন বাংলাদেশের যুদ্ধবিধ্বস্ত প্রেক্ষাপটে ভারতীয় সহায়তা এবং প্রধানমন্ত্রী মুজিব ও ইন্দ্রিরার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুদৃঢ় ভিত্তি স্থাপনের বিষয়কে স্মরণ করেন। এছাড়া দুই দেশের সব ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের ওপর আলোচনা করেন, যা প্রধনমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধনামন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির গতিশীল নেতৃত্বে বেগবান হয়েছে।

ভারতের রাষ্ট্রদূত ড. দীপক মিত্তাল বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় বাংলাদেশের পাশে থাকতে পেরে ভারতের জনগণ গর্বিত।

বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপাক্ষিক ঐতিহাসিক সম্পর্ক অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ।  

আরও পড়ুন:

ইরানের ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ার আহ্বান

এবার আলেশা মার্টের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা


 

কাতারসহ ১৮টি দেশে বাংলাদেশ ও ভারতীয় দূতাবাসে যৌথভাবে দিবসটি পালন করা হচ্ছে। গত মার্চ মাসে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরকালে বাংলাদেশকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতির দিবস ৬ ডিসেম্বরকে মৈত্রী দিবস হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে কাতারে নিযুক্ত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, কাতারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, শিক্ষাবিদ, মুক্তিযোদ্ধা, প্রবাসী বাংলাদেশি ও ভারতীয়সহ শতাধিক ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।  

news24bd.tv/আলী