ছাত্রলীগ নেতা হত্যা: চিকিৎসাধীন প্রধান আসামির মৃত্যু

প্রধান আসামি মাসুদ আলম

ছাত্রলীগ নেতা হত্যা: চিকিৎসাধীন প্রধান আসামির মৃত্যু

সাইদুল ইসলাম পাবেল, লক্ষ্মীপুর

তৃতীয় ধাপের ইউপি নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরে রামগঞ্জে ইছাপুর ইউনিয়নে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংর্ঘষে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন সজিব নিহতের ঘটনার হত্যা মামলার প্রধান আসামী মাসুদ আলম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন।

বৃহস্পতিবার (৯ ডিসেম্বর) ভোরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান তিনি। তার মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লক্ষ্মীপুর জেলা কারাগারের জেলার মো. সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি জানান, ৩০ নভেম্বর সজিব হত্যা মামলার আসামী মাসুদ আলম আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

তখনও সে গুরুতর আহত ছিল। পরে ১ ডিসেম্বর চিকিৎসার জন্য প্রথমে সদর হাসপাতাল, পরে কুমিল্লা মেডিকেলে পাঠানো হয়।  

মাসুদের অবস্থার অবনতি হওয়ায় ওইদিন রাতে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ৮ দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় মাসুদ।

 

রামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাসুদ আলম সজিব হত্যা মামলার প্রধান আসামী ছিল। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে ৩০ নভেম্বর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

উল্লেখ্য, ২৮ নভেম্বর তৃতীয় দফায় ভোটের দিন বিকেল পৌনে চারটার দিকে ইছাপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নয়নপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের বাইরে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহেনাজ আক্তার ও বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রাথী আমির হোসেন খানের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এসময় ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সাজ্জাদ হোসেন সজিব গুরুতর আহত হয়। আহত হয় মাসুদ আলমও। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় গুরুতর আহত অবস্থায় সজিবকে ঢাকা নেয়ার পথে মারা যায় সে।

এ ঘটনায় পরের দিন নিহত ছাত্রলীগ নেতা সজিব হোসেনের বোন বাদী হয়ে রামগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় মাসুদ আলম, বিজয়ী চেয়ারম্যান আমির হোসেন খাঁনসহ ২২ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।

আরও পড়ুন


সেন্টমার্টিনে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে ৪ ছাত্রকে অপহরণ

news24bd.tv এসএম