আইডিয়া দিলাম, কেউ ট্রাই করতে পারেন

শান্তা আনোয়ার

আইডিয়া দিলাম, কেউ ট্রাই করতে পারেন

শান্তা আনোয়ার

১৯৬৭ সালে এস এন এস শাস্ত্রী একটা ডকুমেন্টারি তৈরি করেন, "আই এম টুয়েন্টি" নামে। এই ডকুমেন্টারিতে যারা অংশ নিয়েছেন তাদের সবার বয়স ২০।

একটা নির্দিষ্ট দিনে তাদের জন্ম ১৯৪৭ এর ১৫ আগষ্ট যেদিন ভারত স্বাধীন হলো। এই বিশ বছর বয়সী ছেলেমেয়েগুলো যারা বিভিন্ন অঞ্চলে জন্মেছে বিভিন্ন সামাজিক পরিমন্ডলে বড় হয়েছে, বিভিন্ন আর্থ সামাজিক অবস্থায় বেড়ে উঠেছে।

তারা কীভাবে দেশের স্বাধীনতাকে দেখছে এটাই ছিলো ডকুমেন্টারির উদ্দেশ্য।

একজন লাইব্রেরির চেয়ারে বসে মোটা ফিজিক্যাল কেমিস্ট্রির বইয়ের পাশে বা হাত রেখে ডান হাতে খোলা চশমা নিয়ে খেলা করতে করতে বলছে তার বাবার প্রজন্ম থেকে তার প্রজন্মের মানুষদের জীবন অবশ্যই সহজ হয়েছে। আরেকজন চোখ মুখ নাড়িয়ে নাটকীয় ভাবে বিটলসের আই শ্যুড হ্যাভ নোন গানটি গেয়ে ইকুলুলে পিড়িং পিড়িং করতে করতে বলছে, দেশের জন্য তার কোন ভক্তি নেই, সে কেবল হাসি খেলা করে আনন্দে বাঁচতে চায়।

একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে বলছে, আজাদি মানে হলো অন্যের অধীনে কাজ না করে নিজের রুটিরুজির ব্যবস্থা করা।

আরেকজন জোরসে গরুর গাড়ি হাঁকিয়ে যেতে যেতে বলছে, স্বাধীনতার মানে হচ্ছে নিজের মর্জি মতো কাজ করা।

আরও পড়ুন

বিদায় নিলেন অ্যাঙ্গেলা মার্কেল

চীনের কারাগারে বন্দি সিটিজেন সাংবাদিকের স্বাধীনতা পুরস্কার লাভ

প্রধানমন্ত্রীকে বরখাস্ত করলেন বুরকিনা ফাসোর রাষ্ট্রপতি

ইউ টিউবে ডকুমেন্টারিটা আছে। উনিশ মিনিটের দেখে নিতে পারেন। বাংলাদেশের কোন ডকুমেন্টারি নির্মাতা কি এমন একটা ডকুমেন্টারি করবেন? আই এম ফিফটি নাম দিয়ে,তাদের নিয়ে যাদের জন্ম ১৯৭১ এর ১৬ ডিসেম্বর? সংবাদ কর্মীরাও করতে পারেন এমন একটা স্টোরি, আই এম ফিফটি নাম দিয়ে।

যেদিন এরশাদের পতন হলো সেদিন যারা জন্ম নিয়েছিলো তাদের নিয়েও করা যায়। একটা দারুণ রিফ্লেকশন আমরা পেতে পারি। আইডিয়া দিলাম। কেউ ট্রাই করতে পারেন।

লেখাটি শান্তা আনোয়ার-এর ফেসবুক থেকে সংগৃহীত ( লেখাটির আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। )

news24bd.tv/এমি-জান্নাত