দেশের মানুষের মত আমিও ইভ্যালিকে বিশ্বাস করেছিলাম : ফারিয়া

সংগৃহীত ছবি

দেশের মানুষের মত আমিও ইভ্যালিকে বিশ্বাস করেছিলাম : ফারিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিতর্কিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কর্মকাণ্ডে সহযোগিতার অভিযোগে সংগীতশিল্পী তাহসান খান, অভিনেত্রী মিথিলা এবং শবনম ফারিয়াসহ  ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এই মামলার আসামীরা যে কোন সময় গ্রেফতার হতে পারেন বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) সাজ্জাদুর রহমান। এদিকে এই মামলা ও ইভ্যালি প্রসঙ্গ নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন শবনম ফারিয়া।  

মামলার বিষয়ে তিনি বলছেন, মামলার বিষয়টা ছিলো অনেকটা আকাশ থেকে পড়ার মতো।

কোনো কিছুর সঙ্গে সম্পৃক্ত না আমি তবুও হয়ে গেল মামলা।  

ইভ্যালিতে তার কাজ নিয়ে শবনম ফারিয়া বলেন, আমি ইভ্যালিতে কাজ শুরু করি গত ৫ জুন। আর ধানমন্ডি থানায় যিনি মামলা করলেন তিনি ইভ্যালি থেকে পণ্য কিনেন মে মাসের শুরুর দিকে। তাহলে কি তিনি আমাকে স্বপ্নে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়েই ইভ্যালিতে অর্ডার করেছিলেন? এই গ্রাহক যে অভিযোগ করেছেন সেটা পুরোটাই  ভিত্তিহীন।

কারণ ওই সময়ে তো আমি সেখানে(ইভ্যালিতে) কাজই করতাম না। সে কারনে সে গ্রাহক আমাকে দেখে উদ্ধুদ্ধ হয়ে ইভ্যালি থেকে পণ্য ক্রয় করতে পারে না।

ইভ্যালির সাথে আসলে কি কাজ ছিলো সে বিষয়ে  শবনম ফারিয়া জানান, মে মাসে এই ইভ্যালিতে যোগ দেওয়ার পরও কোনোভাবে প্রকাশ্যে এই ইভ্যালিকে আমি কখনও প্রচার করিনি। কারণ  সেই প্রতিষ্ঠানে যোগ দেয়ার সময়েই বলা ছিলো আমি তাদের কোনও পণ্য প্রচার করতে পারবো না। কারণ, পণ্যের প্রোমোশন করে আমি অনেক টাকা পাই।  

আরও পড়ুন -- শখ মিটে গেছে: শবনম ফারিয়া

ইভ্যালিতে কাজ শুরুর বিষয়ে তিনি বলেন,যেখানে সারা দেশের মানুষ ইভ্যালিকে বিশ্বাস করে পণ্য অর্ডার করেছে, সেরকম আমিও ইভ্যালিকে বিশ্বাস করে তাদের সাথে যুক্ত হয়েছিলাম। কারণ আমি তো অন্য দেশের বা অন্য গ্রহের মানুষ নই। তবে এটাও ঠিক, আমি প্রকাশ্যে ইভ্যালিকে কখনোই প্রোমোট করিনি। আমি কিন্তু ইভ্যালি থেকে এক পয়সাও বেতন পাইনি। সব মিলিয়ে আড়াই মাসে কোনো টাকাপয়সা না নিয়েই চাকরি ছেড়ে দিই।

উল্লেখ্য, ধানমন্ডি থানায় দায়েরকৃত মামলার এজাহারে সাদ স্যাম রহমান তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, প্রতারণামূলকভাবে গ্রাহকদের টাকা আত্মসাৎ ও সহায়তা করা হয়েছে। আত্মসাতে টাকার পরিমাণ ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা, যা তিনি এখনো উদ্ধার করতে পারেননি।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গ্রেপ্তার হওয়া ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মোহাম্মদ রাসেল, তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিন, আকাশ, আরিফ, তাহের ও মো. আবু তাইশ কায়েস।

 

আরও পড়ুন :  ইভ্যালি নিয়ে কথা নয় , শবনম ফারিয়া

মামলার অভিযোগে বলা হয়, তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়া ইভ্যালির বিভিন্ন দায়িত্বে ছিলেন। তাদের উপস্থিতি এবং তাদের বিভিন্ন প্রমোশনাল কথাবার্তার কারণে আস্থা রেখে বিনিয়োগ করেন সাদ স্যাম রহমান। এসব তারকার কারণে তিনি প্রতারিত হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে গায়ক তাহসান খান শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যুক্ত ছিলেন। আর রাফিয়াত রশিদ মিথিলা ‘ইভ্যালি’র ‘ফেস অব ইভ্যালি লাইফস্টাইল’ হিসেবে যুক্ত ছিলেন। এ ছাড়াও প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা হিসেবে অল্প কয়েক মাস কাজ করেছিলেন শবনম ফারিয়া।
news24bd.tv/আলী