মন্ত্রীত্ব হারানো ডা. মুরাদ হাসান কোথায় আছেন তা নিয়ে অস্পষ্টতা তৈরি হয়েছে। নারীর প্রতি অশোভন মন্তব্যসহ নানামুখী বির্তকে জড়িয়ে পড়া ডা. মুরাদ গত ৯ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে দেশত্যাগ করেন। এরপর কানাডার টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছলেও তাকে সে দেশে ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। কিন্তু আনুষ্ঠানিক কোনো সূত্রে ডা. মুরাদের অবস্থানের কথা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
তবে কানাডার সরকারি সূত্র থেকে এই ব্যাপারে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। কানাডা বর্ডার সার্ভিসের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্যও জানা যায়নি।
মুরাদ হাসান আমিরাতের একটি ফ্লাইটে স্থানীয় সময় শুক্রবার দুপুর ১টা ৩১ মিনিটে টরেন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। এ সময় কানাডা ইমিগ্রেশন এবং বর্ডার সার্ভিস এজেন্সির কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যান।
কানাডায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত খলিলুর রহমান সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তিনি এদেশে এসেছেন কিনা- ঢুকতে পেরেছেন কিনা কিংবা ঢুকতে পারলে কোথায় আছেন, এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই।
তিনি বলেন, মুরাদ হাসানের কানাডা সফর সম্পর্কে বিভিন্ন খবর আমরা পত্রিকায় দেখেছি। একটি পত্রিকা বলছে, তাকে ইমিগ্রেশনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আবার আরেকটি পত্রিকা বলছে তিনি মন্ট্রিলে আছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, বাংলাদেশ সরকার তার সফর সম্পর্কে দূতাবাসকে কিছু জানায়নি। এর আগে তিনি প্রতিমন্ত্রী হিসেবে কানাডা সফরকালে আমাদের অবহিত করা হয়েছিল। মুরাদ হাসান এখন সংসদ সদস্য। অনেক সময় সংসদ সদস্যরা কানাডা সফর করলে আমাদের জানান বিভিন্ন ধরনের প্রটোকল সুবিধার জন্য। কিন্তু মুরাদ হাসান তার সফর সম্পর্কে আমাদের কিছু জানাননি।
এ বিষয়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডীয় হাইকমিশনার বেনোই প্রেফনটেইন বলেন, এ বিষয়ে তার সঙ্গে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি। তবে করোনাকালীন ভ্রমণের বিষয়ে বেশকিছু বিধিনিষেধ আছে, যা দেশটিতে ভ্যালিড (বৈধ) ভিসা থাকা সব ভ্রমণকারীর জন্য প্রযোজ্য। তবে কোনো ব্যক্তির ভিসা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে দেশটির ইমিগ্রেশন ও বর্ডার এজেন্সি।
এদিকে কানাডায় প্রবেশ করতে না পেরে ডা. মুরাদ হাসান সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই বিমানবন্দরে অবস্থান করছেন বলে একটি সূত্র জানিয়েছে। যদিও তথ্যটির সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।
ওই সূত্র বলছে, ডা. মুরাদ বর্তমানে দুবাইতেই থেকে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এখন যদি দেশটির ইমিগ্রেশন তাকে প্রবেশে সুযোগ দেয়, তাহলে তিনি সেখানেই আপাতত অবস্থান নেবেন। আর যদি প্রবেশ করতে না দেওয়া হয়, তাহলে তিনি শেষমেশ দেশেই ফিরে আসতে পারেন বলে ধারণা সূত্রটির।
মুরাদ হাসানের বিষয়টি এখন পুরোপুরিই ধুঁয়াশার মধ্যে রয়েছে। তার বিষয়টি পরিষ্কার হতে আরও কিছুটা সময় অপেক্ষা করতে হবে। এখন দেখার বিষয় ড. মুরাদকে শেষমেশ দেশেই ফিরতে হয় কিনা?
news24bd.tv/আলী