দিনে তিন বার মিলনের ইচ্ছে হত এই ধনকুবেরের

সংগৃহীত ছবি

দিনে তিন বার মিলনের ইচ্ছে হত এই ধনকুবেরের

অনলাইন ডেস্ক

দিনে তিন বার মিলনের ইচ্ছে হত এই ধনকুবেরের, প্রয়োজন পড়ত নতুন প্রেমিকার!  

জেফ্রি এডওয়ার্ড এপস্টিন। আমেরিকার ধনকুবের তিনি। যদিও ধনী তাঁকে একজন যৌন অপরাধী হিসেবে বেশি চিনেন। অন্ততপক্ষে ৪০ জন মহিলা যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছেন এই কুখ্যাত জেফ্রির বিরুদ্ধে।

প্রত্যেকেই জানিয়েছেন, তাঁরা ধনকুবেরের যৌন লালসার শিকার হয়েছিলেন অল্প বয়সে। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।  

এতে আরও বলা হয়েছে, জেফ্রি এমন এক ধনকুবের যিনি অর্থের জোরে নাবালিকাদের কখনও ইচ্ছের বিরুদ্ধে, কখনও ভয় দেখিয়ে সহবাস করেছেন তঁদের সঙ্গে। সেই অত্যাচারের বিবরণও নানা ভাবে সামনে এসেছে বহুবার।

মানুষ প্রতি পদে ঘৃণা করেছেন তাকে। কিন্তু জেফ্রির এই অদ্ভূত অভ্য়াসের কারণ খুঁজে পাননি।  
 
পরে জেফ্রি তাঁর কুকীর্তির জন্য গ্রেফতার হয়েছেন। দোষী সাব্যস্ত হয়ে জেলও হয়েছে তাঁর। শেষে বছর দু’য়েক আগে জেলের ভিতরেই আত্মঘাতী হন আমেরিকার এই ধনকুবের।  

তবে মৃত্যুর দু’বছর পর জেফ্রির ব্যাপারে এমন একটি তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে যা তাঁর চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কিছুটা ব্যখ্যা দিতে পারে।

দিন কয়েক আগেই জেফ্রির বিরুদ্ধে হওয়া নাবালিকাদের যৌন হেনস্থার মামলায় তাঁর প্রেমিকার হাত ছিল এমন অভিযোগ এনে নতুন একটি মামলা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি সেই মামলায় সাক্ষ্য দেন কেট নামে এক মহিলা।

‘কেট’ অবশ্য তাঁর ছদ্মনাম। কেট জানিয়েছেন, একটা সময়ে জেফ্রির শিকার হয়েছিলেন তিনিও। তবে তাঁর সঙ্গে যখন জেফ্রির আলাপ হয়েছিল, তখন কেট প্রাপ্তবয়স্ক। পড়াশোনা করছেন কলেজে।

জেফ্রির সঙ্গে কেটের আলাপ করিয়ে দিয়েছিলেন স্বয়ং জেফ্রির প্রেমিকা ঘিসলাইন ম্যাক্সওয়েল। বলেছিলেন, জেফ্রি প্রতিভাধরদের পড়াশোনার খরচ জুগিয়ে সাহায্য করেন। সঙ্গীত নিয়ে উচ্চ শিক্ষার স্বপ্নও দেখছেন। জেফ্রির সঙ্গে আলাপ সুবর্ণ সুযোগ বলেই মনে হয়েছিল তাঁর।

কেট জানিয়েছেন, জেফ্রির সঙ্গে তাঁকে দেখা করাতে একরকম জোরই করেছিলেন তাঁর প্রেমিকা ম্যাক্সওয়েল। প্রথম সাক্ষাতেই তাঁকে দিয়ে ‘ফুট মাসাজ’ করিয়েছিলেন জেফ্রি। এমনকি ওইদিনই কেটকে দিয়ে নিজের শরীরের ঊর্ধ্বাঙ্গে ম্যাসাজ নেন জেফ্রি।
 সেদিন জেফ্রি কেট-এর সঙ্গে তিনি ঘনিষ্ঠ হওয়ার চেষ্টাও করেন। কিন্তু ভয় পেয়ে চিৎকার করে দরজা ধাক্কা দিতে শুরু করেন কেট। ম্যাক্সওয়েল এসে উদ্ধার করেন তাঁকে।

আরও পড়ুন:


নেশা জাতীয় দ্রব্য খাইয়ে তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রীকে রাতভর ধর্ষণ


আদালতে নিজের বয়ানে কেট বলেছেন, ‘‘ম্যাক্সওয়েল আমাকে সেদিন বলেছিলেন, জেফ্রির যৌনাকাঙ্খা অত্যন্ত বেশি। দিনে অন্তত তিনবার মিলনেচ্ছু হন। সেই চাহিদা একা সামাল দিতে পারেন না জেফ্রির প্রেমিকা । ’’ কেটদের শরণাপন্ন হওয়া সেই অসহায়তা থেকেই।  

news24bd.tv রিমু