দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে গনপরিবহন। লক্কর ঝক্কর যানবাহনই মূল ভরসা যাত্রীদের। বাংলাদেশ রোড ট্র্যান্সপোর্ট অথরিটি বিআরটিএ-এর তথ্য অনুযায়ী-এখনও প্রায় ১০ লাখ যানবাহন চলছে অবৈধ ড্রাইভারের হাতে। এসবের পরও বিআরটিএ বলছে-আগের থেকে উন্নতি হয়েছে পরিস্থিতির।
এমন রং-চটা, ভাঙা চোরা বাসেই চলে আসছে রাজধানীর যাত্রী পরিহন। বিভিন্ন সময়ে এসব বাস নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হলেও- রাস্তা থেকে সরেনি এসব বাস।
অধিকাংশ বাসেরই নেই লুকিং গ্লাস। ভেঙে গেছে বিভিন্ন অংশ। উঠে গেছে বাসের রং। দীর্ঘদিন ধরে নষ্ট লাইট শেষপর্যন্ত হয়ে গেছে পরিত্যাক্ত। তারপরও-রাজধানীর রাস্তায় দাপটের সঙ্গে চলছে লক্ড় ঝক্কড় বাস। খুব একটা ব্যবস্থাও পুলিশের। এর মধ্যেই ভা নৈরাজ্য তো চলছেই। যে কারনে বাসের হেলপারের সঙ্গে যাত্রীদের এমন ঝগড়া নিত্যদিনের।
শুধুমাত্র একটি রুটেই নয়। রাজধানীর ২৯০ টির বেশি রুটে চলা প্রায় ৬ হাজার বাসের বেশিরভাগই রং-চটা। অনেক বাসের মেয়াদ শেষ হলেও বন্ধ হয়নি যাত্রী পরিবহন। বিআরটিএ-র তথ্য বলছে-২০২১ এর জুন পর্যন্ত সারাদেশে নিবন্ধিত যানবাহন ৪৭ লাখ ৭৬ হাজার। একই সময়ে বিআরটিএ থেকে ড্রাইভিং লাইসেন্স নিয়েছেন ৩৭ লাখ ৬৩ হাজার। অর্থাৎ এখনও ১০ লাখ যানবাহন চলছে লাইসেন্সকৃত ড্রাইভার ছাড়াই।
আর তাই বিশেষজ্ঞরা বলছেন-বাসকে উপক্ষো করে সড়কে স্বস্তি ফেরানো সম্ভব নয়। মেগা প্রকল্পের পাশাপাশি বাসেও মেগা বাজেট প্রয়োজন।
আরও পড়ুন:
বসের ধমক খেয়ে তেলের ডিপোতে আগুন দিলেন নারী কর্মী!
ইয়েমেনে হুথি বিদ্রোহীদের লক্ষ্য করে অব্য্যাহতভাবে হামলা
পরমাণু সমঝোতায় কোনো ছাড় দিবে না ইরান
২০১৮ সালের নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের পর পার হয়েছে ৩ বছর। এখনও সড়কে বিসংখল গণপরিবহন। প্রতিদিনই ঝরছে তাজা প্রান। ২০২১ সালের আগস্ট পর্যন্তই দূর্ঘটনায় মারা গেছে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি মানুষ। ভুক্তভেঅগীদের তাই প্রশ্ন – সরকারের-প্রশাসনের টনক আসলে নড়বে কবে ?
news24bd.tv/এমি-জান্নাত