কদিন পরেই ‘নতুন রূপে’ উঠছে বাণিজ্য মেলার পর্দা

কদিন পরেই ‘নতুন রূপে’ উঠছে বাণিজ্য মেলার পর্দা

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকার শেরেবাংলা নগরে যে ‌‘ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার’ (ডিআইটিএফ) আয়োজন করা হতো এখন থেকে তা হবে পূর্বাচলে। করোনা সংক্রমণ কমে আসায় ২৬তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। পরে তা অনুমোদনও দেয়।

আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে পূর্বাচলে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশীপ এক্সিবিশন সেন্টারে শুরু হবে মাসব্যাপী এ আয়োজন।

জায়গাটি শেরেবাংলা নগর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন ১৭ মার্চ তা শুরু হবে।

ঢাকার শেরে বাংলা নগরে ১৯৯৫ সাল থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার আয়োজন করে আসছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। এতে দেশ-বিদেশের কয়েকশ' প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়ে তাদের পণ্য প্রদর্শন ও বিক্রি করে থাকে।

এ মেলা থেকে দেশের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানগুলো অনেক রপ্তানি আদেশ (অর্ডার) পেয়ে থাকে। এই মেলা আয়োজনের কোনো স্থায়ী অবকাঠামো না থাকায় পূর্বাচলের নতুন শহরের ৪ নং সেক্টরে ২০ একর জমির ওপর ২০১৭ সালের অক্টোবরে মেলার অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করে সরকার। চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন এ অবকাঠামো নির্মাণ করেছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৭৭৩ কোটি টাকা।

ইপিবি সূত্রে জানা গেছে, পূর্বাচলে ২০ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার। সেখানে ৯ বর্গফুট আয়তনের ৮০০টি স্টল রয়েছে। ফলে শেরেবাংলা নগরের মতো হবে এ মেলা। থাকবে না বিপুলসংখ্যক প্রতিষ্ঠান এবং তলাবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন প্যাভিলিয়নও। সব মিলিয়ে মেলায় অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫০ শতাংশ কমতে পারে। এমনটি ধারণা করছে সংশ্লিষ্টরা।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্প এলাকার ৪নং সেক্টরে বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশীপ এক্সিবিশন সেন্টারটি ২০২১ সালের ২১ অক্টোবর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক্সিবিশন সেন্টারের দূরত্ব ঢাকার কুড়িল বিশ্ব রোড এবং পূর্বাচলগামী ৩০০ ফুট রাস্তার মিলন কেন্দ্র থেকে প্রায় ১৪ কিলোমিটার দূরে। এক্সিবিশন সেন্টার নির্মাণের জন্য প্রকল্পের ডিপিপি ২০১৫ সালে অনুমোদিত হয়। পরে ২০১৮ সালে এক্সিবিশন সেন্টারে আবাসন সুবিধাসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের ব্যবস্থা রেখে প্রকল্পের আরডিপিপি অনুমোদিত হয়। আরডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পের সংশোধিত মেয়াদ ২০২০ সাল পর্যন্ত থাকলেও তা বাড়িয়ে ডিসেম্বর, ২০২১ সাল পর্যন্ত করা হয়।

সূত্রটি আরও জানায়, প্রকল্পের জন্য ২০১৫ সালে ২০ একর জমি বরাদ্দ করা হয়। পরে ২০১৮ সালে আরও ৬.১০ একর জমি বরাদ্দ করা হয়। এ হিসেবে প্রকল্পের জন্য মোট বরাদ্দ জায়গার পরিমাণ ২৬.১০ একর। অন্যদিকে প্রকল্পের আরডিপিপি অনুযায়ী প্রকল্পের মোট জমির পরিমাণ ৩৫ একর। প্রকল্পের জন্য অবশিষ্ট জমি বরাদ্দ প্রক্রিয়াধীন। চীনের আর্থিক ও কারিগর সহায়তায় চীনা নির্মাণ প্রতিষ্ঠান ‌‘চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন’ প্রকল্পের চীনা অংশের অবকাঠামোসমূহ নির্মাণ ২০২০ সালে সম্পন্ন করে।

news24bd.tv/ তৌহিদ