পরকীয়া প্রেমে ঘর ছেড়ে, ঝোপের মধ্যে পড়ে ছিল লাইলির লাশ

প্রতীকী ছবি

পরকীয়া প্রেমে ঘর ছেড়ে, ঝোপের মধ্যে পড়ে ছিল লাইলির লাশ

অনলাইন ডেস্ক

ফেনীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ঝোপের মধ্য থেকে অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার হওয়া এক নারীর লাশের পরিচয় তিন মাস পর শনাক্ত করেছে পুলিশ। ওই মহিলাকে হত্যায় জড়িত দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে।  

গ্রেপ্তারকৃত প্রেমিক আব্দুল্লাহ আনসারী মুন্না (২৩) ও মাইক্রোবাস চালক দ্বীন ইসলাম (২৩) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অং প্রু মারমা।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, লাইলি হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় আব্দুল্লাহ আনসারী মুন্না বুধবার বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসানের আদালতে ও গাড়িচালক দ্বীন ইসলাম সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা লোকমানের আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

পরে তাদেরকে ফেনী জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অং প্রু মারমা জানান, চলতি বছরের গত ১৩ই সেপ্টেম্বর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার মোহাম্মদ আলী বাজারের পাশে সুন্দরপুর এলাকায় ঝোপ-জঙ্গলের মধ্যে থেকে এক নারীর গলিত লাশ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। পরে পুলিশ তদন্ত করলে ঝোপ থেকে উদ্ধার হওয়া ওই নারীর পরিচয় শনাক্ত করে। শনাক্তকৃত নারী লাইলী বেগম কুমিল্লা জেলার কোতোয়ালি থানার ধর্মপুর আমতলী এলাকার নামের একজন গৃহিণী ছিলেন।

থোয়াই অং প্রু মারমা আরো জানান, ঘটনার এক মাস পূর্বে কুমিল্লার ক্যান্টনমেন্ট এলাকার হোটেলের শ্রমিক আব্দুল্লাহ আনসারী মুন্নার সাথে মোবাইল ফোনে গৃহবধূ লাইলির পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তাদের প্রেমের সম্পর্ক হয়।

এক পর্যায়ে গত ২রা সেপ্টেম্বর পরকীয়া প্রেমিক মুন্নার সাথে পালিয়ে বিয়ে করতে তিন বছর বয়সী এক সন্তানের জননী লাইলি বাড়ি থেকে বের হন। তারা দু’জন কুমিল্লার বিশ্বরোড জাগরতলী এলাকা থেকে মাইক্রোবাসে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন।

এদিকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় লাইলি মাত্র ১৮ হাজার টাকা সঙ্গে নিয়ে বের হওয়ায় ক্ষুব্ধ হন মুন্না। আরো বেশি টাকা নেয়নি কেন এ নিয়ে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে গাড়িতে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে সুযোগ বুঝে পথিমধ্যে মাহসড়কের ফেনীর মোহাম্মদ আলী বাজার এলাকায় ঝোপের মধ্যে লাইলির মরদেহ ফেলে পালিয়ে যায়।

থোয়াই অং প্রু মারমা জানান, অজ্ঞাত লাশটি উদ্ধারের বিষয়টি পার্শ্ববর্তী কয়েকটি জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়কে জানানো হয়।  

এদিকে কিছুদিন আগে অন্য একটি হত্যা মামলায় আব্দুল্লাহ আনসারী মুন্নাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরবর্তীতে ফেনী জেলা পুলিশ তাকে সন্দেহভাজন হিসেবে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করলে মুন্না অজ্ঞাত ওই লাশটি লাইলি হিসেবে স্বীকার করেন।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন, ফেনীর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

news24bd.tv/ কামরুল