মনু নদীর বাঁধে ভাঙন, ১২ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি

মনু নদীI -সংগৃহীত ছবি

মনু নদীর বাঁধে ভাঙন, ১২ গ্রামের মানুষ পানিবন্দি

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

সীমান্তের ওপার থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মনু নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের তিনটি স্থানে ভাঙন দেখা দিয়েছে। বাঁধ ভেঙে পানি প্রবেশ করায় মঙ্গলবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে শরীফপুর ইউনিয়নের ১২টি গ্রামের তিন হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বুধবার সকালেও অবস্থার কোন উন্নতি দেখা যায়নি।

শরীফপুরের বটতলা থেকে চাঁনপুর পর্যন্ত প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক তিন ফুট পরিমাণ পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে।

এতে শরীফপুরের সঙ্গে কুলাউড়া সদর এবং বাংলাদেশ-ভারত সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার দুপুর থেকে মনু নদীর পানিবৃদ্ধি পায়। বিকেলে শরীফপুর ইউনিয়ন কার্যালয় সংলগ্ন চাতলা সেতু এলাকার পানি বিপদসীমার ৮০ সেন্টিমিটার ও মনু রেলসেতু এলাকায় ২০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। রাত সাড়ে ৮টার দিকে আমলা বিজিবি ক্যাম্পসংলগ্ন মনু প্রতিরক্ষা বাঁধে ভাঙন শুরু হয়।

এরপর গ্রামবাসী ও বিজিবি সদস্যরা মিলে শতাধিক বস্তা বালু দিয়ে এ স্থান রক্ষা করেন। তবে রাত আড়াইটায় বাঘজুর ও তেলিবিল গ্রাম এলাকার প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে দ্রুতগতিতে ঢলের পানি গ্রামে প্রবেশ করে। পানিতে বসতঘরসহ ফসলি জমি তলিয়ে যায়। একই সময় চাতলা সেতুর উত্তর দিকে কয়েক মাস আগে নির্মিত প্রতিরক্ষা বাঁধও ভেঙে দ্রুতগতিতে ঢলের পানি গ্রামে প্রবেশ করে।  

ঈদের দুই দিন বাকি থাকতে এভাবে বাঁধ ভেঙে পানিবন্দি হয়ে পড়ায় ১২ গ্রামের মানুষের ঈদ আনন্দ মাটিতে মিশে গেছে। গত রাতে শবে কদরের ইবাদতও পানিবন্দি মানুষগুলো ঠিকভাবে করতে পারেননি বলে জানান ইউপি চেয়ারম্যান মো. জুনাব আলী। তিনি বলেন, ঈদের আগে এই পানি নামবে বলে মনে হয় না। এখানকার মানুষ ঈদুল ফিতরও সঠিকভাবে পালন করতে পারবে কিনা সন্দেহ রয়েছে।

সম্পর্কিত খবর