ফেনীতে ভারীবর্ষণ ও ভারতীয় পাহাড়ি ঢলে মুহুরী নদীর পানি বিপদ সীমার ৩০০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার মধ্যরাতে মুহুরী নদীর বেড়িবাঁধের ফুলগাজী ও পরশুরাম উপজেলার আটটি স্থানে ভেঙে অন্তত ১৫ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। পানিতে তলীয়ে গেছে ফেনী-পরশুরাম আঞ্চলিক সড়ক।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে মুহুরী নদীর ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের উত্তর দৌলতপুর ও বরইয়া এলাকায় বাঁধের দুটি অংশ ভেঙে যায়। এতে ঘনিয়া মোড়া, উত্তর দৌলতপুর, দক্ষিণ দৌলতপুর, উত্তর বরইয়া ও দক্ষিণ বরইয়াসহ অন্তত পাঁচটি গ্রাম প্লাবিত হয়। রাত ১২টার দিকে পরশুরামে ঘনিয়ামোড়া, দূর্গাপুর অংশসহ আরো ছয়টি স্থানে মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙে তলিয়ে যায় চিথলিয়া, বৈরাগপুর, মনিপুর, নিলক্ষী, রামপুর, কাউতলীসহ ১০টি গ্রাম।
প্রবল পানির স্রোত ভাসিয়ে নিয়ে গেছে কাঁচা ও আধাপাকা ঘরবাড়ি।
নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনীয়া নদীর বেড়িবাঁধের বেশ কয়েকটি স্থানে ভাঙনের আশংঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্যা কবলিতদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি ত্রানের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পরশুরাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আহসান উদ্দিন মুরাদ।
এদিকে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলের পানি না কমলে ভাঙা বেড়িবাঁধ মেরামত করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী কহিনুর আলম। তবে যে যে স্থানে বাঁধ নতুন করে ভেঙে যাওয়ার শঙ্কা রয়েছে সেগুলে মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে।