গত বছরের প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে সন্ত্রাসী কার্যক্রম কমেছে, একইসাথে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বিভিন্ন তদন্ত কার্যক্রম এবং গ্রেপ্তারের ঘটনাও বেড়েছে। এই সময়কালে সন্ত্রাসী কার্যক্রমে দেশে কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক রিপোর্টে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন টেররিজম (২০২০)’ নামের ওই রিপোর্টে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সন্ত্রাসী কার্যক্রমের চিত্র বিশ্লেষণ করে এই মন্তব্য করা হয়েছে।
৩২০ পৃষ্ঠার ওই রিপোর্টের ১৫৪-১৫৬ নম্বর পৃষ্ঠায় বাংলাদেশের সন্ত্রাসী কার্যক্রম নিয়ে মার্কিন নথিতে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে বাংলাদেশ তিনটি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। কিন্তু এই ঘটনায় কারো মৃত্যু হয়নি। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি নিয়ে কাজ করেছে বাংলাদেশ সরকার। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে বাংলাদেশ সরকারের নতুন জাতীয় সন্ত্রাস দমন ইউনিট কাজ শুরু করে। সরকারের প্রধান অ্যান্টি-টেররিজম এজেন্সি হিসেবে কাজ করতেই এই বিশেষ শাখার যাত্রা হয়।
এছাড়া বাংলাদেশ নিজেদের ভূখণ্ডের সীমান্ত ও বিভিন্ন বন্দর দিয়ে প্রবেশ নিয়ন্ত্রণের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সহযোগিতামূলক সম্পর্ক জোরদার করেছে বলেও রিপোর্টে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে চিহ্নিত সন্ত্রাসী বা সন্দেহভাজনদের নিয়ে জাতীয় পর্যায়ে একটি ‘অ্যালার্ট লিস্ট’ তৈরিতেও একযোগে কাজ করছে দুই দেশ।
এতে আরও বলা হয়, গত বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামে, ৩১ জুলাই নওগাঁয় এবং ২৪ জুলাই ঢাকার গুলশানে পুলিশের মোটরসাইকেলে আইএস অনুপ্রাণিতরা হামলা চালায় বলে দাবি করা হলেও পরে তা ভুল প্রমাণিত হয়। সাম্প্রতিক সময়ে হামলা পরবর্তী পুলিশের বিভিন্ন তৎপরতাকেও গুরুত্বের সঙ্গে উল্লেখ করা হয়েছে মার্কিন ওই প্রতিবেদনে।
প্রতিবছরই বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী পদক্ষেপ নিয়ে এই ধরনের প্রতিবেদন প্রকাশ করে থাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এই প্রতিবেদনে পূর্ববর্তী বছরের সন্ত্রাসবাদের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়।
আরও পড়ুন:
news24bd.tv/ নকিব