ভোরের আলো ফুটতে না ফুটতেই মাদারীপুরের শিবচরের কাঁঠালবাড়ী ঘাট ব্যস্ত হয়ে উঠছে ঘরমুখো মানুষের পদচারণায়। লঞ্চ,স্পিডবোট ও ফেরিতে এসে মানুষ নামছে কাঁঠালবাড়ী ঘাটে।
বিআইডব্লিউটিসি’র কাঁঠালবাড়ী ঘাট সূত্র জানায়, মঙ্গলবার (১২জুন) বিকেল থেকে যাত্রীদের চাপ বাড়তে থাকে এই ঘাটে। আজ (১৩জুন) সকালেই ঘরে ফেরা মানুষের উপচে পড়া ভিড় পরিলক্ষিত হয় ।
প্রতিটি লঞ্চ,স্পিডবোট, ফেরিতেই ছিল যাত্রীদের উল্লেখযোগ্য চাপ। আবহাওয়া কিছুটা খারাপ থাকায় লঞ্চের পাশাপাশি ফেরিতেও যাত্রীরা পার হচ্ছে।বর্তমানে এ নৌরুটে ৮৭টি লঞ্চ, ২ শতাধিক স্পিডবোট ও ১৯টি ফেরি যাত্রী সেবায় নিয়োজিত রয়েছে।
মাদারীপুরের এক যাত্রী বলেন, ‘তিন বা চারদিন পরেই ঈদ।
বরিশালের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়া তৈয়ব খান বলেন,‘সকাল থেকেই সব জায়গায় বেশ ভিড়। লঞ্চে অনেক যাত্রী ছিল। বৈরী আবহাওয়ার কারণে পদ্মা কিছুটা উত্তাল রয়েছে। তবে লঞ্চে যাত্রীর পরিমাণ বেশি হলেও অতিরিক্ত ছিল না। ’
বিআইডব্লিউটিএ’র কাঁঠালবাড়ী লঞ্চ ঘাটের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর আক্তার হোসেন জানান, ’ঈদের আগে লঞ্চে চাপ থাকে শিমুলিয়া ঘাটে। আমরা কাঁঠালবাড়ী ঘাট থেকে প্রায় যাত্রী শূন্য লঞ্চগুলো শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে পাঠাচ্ছি। সকাল থেকেই যাত্রীরা ফিরতে শুরু করলেও লঞ্চে কোনো প্রকার অতিরিক্ত যাত্রী নেয়ার সুযোগ নেই। নির্বিঘ্নেই যাত্রীরা কাঁঠালবাড়ী ঘাটে এসে নামছে। ’
ঘাট ব্যবস্থাপক আব্দুস সালাম মিয়া জানান,‘কাঁঠালবাড়ী ঘাটে ফেরিতে তেমন চাপ নেই। ফলে অনেকটা পরিবহন শূন্য ফেরিগুলো শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশ্যে কাঁঠালবাড়ী ছেড়ে যাচ্ছে। বর্ষা মৌসুমে ফেরিতেও অধিক সংখ্যক যাত্রী পারাপার হচ্ছে। ’
শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইমরান আহমেদ জানান,‘ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বাড়ছে ক্রমান্বয়ে। বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার চাপ থাকবে আরো বেশি। যাত্রীদের নিরাপত্তায় সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। র্যাব,পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস, ভ্রাম্যমান আদালতের টিম সার্বক্ষণিক ঘাট এলাকায় রয়েছে। তাছাড়া কোনো পরিবহন যেন বাড়তি ভাড়া আদায় করে যাত্রীদের হয়রানি না করে, সেদিকেও আমাদের কঠোর দৃষ্টি রয়েছে। ’
রিজভী/অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর