চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে দিনের বেলায় এক অসহায় মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার ৭২ ঘণ্টার ব্যবধানে সালিশের মাধ্যমে মাত্র ৫ হাজার টাকায় দফারফা হয়েছে বলে জানা গেছে।
গত মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে নাচোল উপজেলার কসবা ইউপির ঘুঘুডাঙা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আর ঘটনাটি চাউর হওয়ায় গত ৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় কসবা ইউপির ঘুঘুডাঙা গ্রামের জনৈক ইব্রাহিমের বাড়িতে নাচোল থানার এসআই রাজ্জাকের নির্দেশে সালিশি বিচারে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মাত্র ৫ হাজার টাকা জরিমানা করে বিষয়টির নিষ্পত্তি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, কসবা ইউপির ঘুঘুডাঙা গ্রামের জনৈক নারীর (২৮) মা এলাকায় মানুষের বাড়িতে কাজ করে মা-মেয়ে দিনাতিপাত করেন।
নারীর মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে গত মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) বেলা ১২টার দিকে প্রতিবেশী আব্দুল্লাহ মোন্নার ছেলে আব্দুর রহমান (৪৫) ভুক্তভোগির মেয়েটির বাড়িতে ঢুকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা চালায়।এসময় মেয়েটি চিৎকার করতে থাকলে স্থানীয়রা ছুটে এসে রহমানের লালসা থেকে মেয়েটিকে রক্ষা করে। পরে ভুক্তভোগি মেয়েটি ঘটনার দিন বিকেলে নাচোল থানায় একটি লিখিত এজাহার দাখিল করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ ডিসেম্বর নাচোল থানার এসআই ও কসবা ইউপির বিট পুলিশিং কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরের দিন অভিযুক্তর কাছে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে ভুক্তভোগি মেয়েটিকে বিষয়টি স্থানীয়ভাবে দ্রুত মীমাংসা করতে চাপ প্রয়োগ করে।
বিচারে অভিযুক্ত আব্দুর রহমান নিজের দোষ স্বীকার করলে তাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ বিষয়ে নাচোল থানার এসআই ও কসবা ইউপির বিট পুলিশিং কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম, কিন্তু আমি কাউকে মীমাংসার জন্য বলিনি।
এ বিষয়ে নাচোল থানার ওসি সেলিম রেজার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গত শনিবার রাতে পুলিশ সুপার আব্দুুর রকিবের (বিপিএম) পিপিএম এর নির্দেশে গোমস্তাপুর সাার্কেলের এসপি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং তিনি বিষয়টি তদন্ত করছেন।
আরও পড়ুন
সেই রুনুকে দিয়েই শুরু হলো বুস্টার ডোজ কার্যক্রম
news24bd.tv এসএম