মেট্রোরেলের মালামালের আরেকটি চালান মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার ২১ ডিসেম্বর বিকাল ৩টার দিকে ৮টি বগি ৪টি ইঞ্জিন ও মেট্রোরেলের আরও ৪৪ প্যাকেজের ৪৯০ মেট্রিক টনের সরাঞ্জম নিয়ে বন্দরের ৮ নম্বর জেটিতে নোঙ্গর করে থাইল্যান্ডের পতাকাবাহী জাহাজ ‘এসপিএম ব্যাংকক’।
বিকেল থেকেই মেট্রোরেলের খালাস কাজ শুরু হয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ও হারবার মাষ্টার কমান্ডার শেখ ফখর উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মেট্রোরেলের বগি ও সরঞ্জাম নিয়ে আসা বিদেশি জাহাজ ‘এম ভি এসপিএম ব্যাংকক’ এর স্থানীয় শিপিং এজেন্ট এনশিয়েন্ট স্টিম শিপ কোম্পানির ব্যাবস্থাপক মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, আজ পর্যন্ত মোট সাতটি জাহাজে করে মেট্রোরেলের মোট ৬০ টি বগি মোংলা বন্দর এসেছে। আগামী মাসে মেট্রোরেলের আরও একটি চালান আসার কথা রয়েছে। সব মিলে ২০২২ সালের মধ্যে মেট্রোরেলের আরও ৯০ টি বগি ও ইঞ্জিন আসবে বলেও জানান তিনি। এরআগে ছয়টি জাহাজে করে সর্বমোট ৪৮ টি বগি মোংলা বন্দরে এসে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন
শীতে হোয়াইটহেডস থেকে যেভাবে মিলবে মুক্তি
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ মুসা বলেন, দেশে আমদানি হওয়া মেট্রোরেলের এসব বগি মোংলা বন্দর দিয়ে খালাস হওয়ার ক্ষেত্রে বন্দরের সক্ষমতার প্রমান মিলেছে। এর আগে রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিভিন্ন মালামাল ও যন্ত্রাংশ মোংলা বন্দর দিয়ে আসে। ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে বন্দরের আউটাবার ড্রেজিং সম্পন্ন হয়েছে। বর্তমানে এই বন্দরের ইনার বারের ড্রেজিং চলছে। নাব্য সংকট দূর হওয়ায় এখন বড় বড় জাহাজ এই বন্দরে ভিড়তে পারছে।
সব মিলিয়ে মোংলা বন্দর একটি গতিশীল বন্দর হিসেবে রূপান্তরিত হয়েছে এবং বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ পর্যন্ত মোট সাতটি জাহাজে করে মেট্রোরেলের মোট ৬০ টি বগি মোংলা বন্দর এসেছে। আগামী মাসে মেট্রোরেলের আরও একটি চালান আসার কথা রয়েছে। সব মিলে ২০২২ সালের মধ্যে মেট্রোরেলের আরও ৯০ টি বগি ও ইঞ্জিন আসবে।
মেট্রোরেলের প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির (ডিএমটিসিএল) জানায়, রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দেশের প্রথম মেট্রোরেল নির্মানে ব্যায় হচ্ছে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের দৈর্ঘ্য ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার। এর মধ্যে মোট ১৬ টি স্টেশন থাকবে।
news24bd.tv/আলী