সবসময় খারাপ সংবাদ পরিবেশন করলে মানুষ হতাশাগ্রস্ত হবে :তথ্যমন্ত্রী

সবসময় খারাপ সংবাদ পরিবেশন করলে মানুষ হতাশাগ্রস্ত হবে :তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

জাতির উন্নয়ন-অগ্রগতি যদি অব্যাহত রাখতে হয়, দেশকে যদি স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছে দিতে হয়, হতাশাগ্রস্ত মানুষ দিয়ে তা সম্ভবপর নয়। সবসময় খারাপ সংবাদ পরিবেশন করলে মানুষ হতাশাগ্রস্তই হবে এবং হতাশ মানুষ দিয়ে জাতির উন্নয়ন সম্ভব নয়। কোনো নেতিবাচক খবরের যদি সংবাদমূল্য থাকে তবে তা অবশ্যই প্রকাশিত হবে। কিন্তু একইসাথে আজকে বাংলাদেশ যে পাকিস্তান ও ভারতকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাচ্ছে, সে অগ্রগতির কথাটাও মানুষকে জানানো অত্যন্ত প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি আজ বিশ্বসম্প্রদায়ের কাছে স্বীকৃত এবং দেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে তা মানুষের কাছে তুলে ধরা আমাদের গণমাধ্যমের নৈতিক দায়িত্ব।

বৃহস্পতিবার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গণযোগাযোগ অধিদফতর পরিচালিত গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে প্রচার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্প থেকে প্রকাশিত 'জাতির পিতা শেখ মুজিব' গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচনকালে তিনি এসব কথা বলেন।

এসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে রাষ্ট্রপতির সংলাপের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন গঠন নিয়ে বিএনপির বিরূপ মন্তব্য নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, গতবারও রাষ্ট্রপতির সংলাপের মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশন গঠিত হয়েছে। এবং  কমিশনের অনেক সিদ্ধান্তের সাথে সময়ে সময়ে দ্বিমত পোষণকারী এবং কেউ কেউ যাকে বিএনপিপন্থী বলেন, সেই মাহবুব তালুকদারও সংলাপের মাধ্যমেই নির্বাচন কমিশনার হিসেবে স্থান পেয়েছেন, সেটিই প্রমাণ করে যে এই পদ্ধতিতে নির্বাচন কমিশন গঠন ঠিক ছিল এবং সংলাপ কার্যকর।

 

এবারো নির্বাচন কমিশন গঠনের লক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সাথে যে সংলাপ করছেন, গণতান্ত্রিক রীতিনীতিকে সংহত করার জন্যই তা করা হচ্ছে এবং অনেক গণতান্ত্রিক দেশ আছে সেখানে নির্বাচন কমিশন গঠনের আগে এধরণের সংলাপ হয় না, বলেও উল্লেখ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান।  

আরও পড়ুন:

২০২২ সালে ভিয়েতনামের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হবে সর্বোচ্চ

মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে জেড পাথরের খনিতে ভূমিধস

মন্ত্রী এসময় বিএনপি সবকিছুকে না বলার নেতিবাচক রাজনীতি থেকে সরে আসবে আশাপ্রকাশ করে বলেন, 'তাদের কোনো বিষয়ে আপত্তি থাকলে, সেটিও তারা সংলাপে অংশ নিয়ে রাষ্ট্রপতিকে বলে আসতে পারবেন, এটিই গণতান্ত্রিক রীতিনীতি। তারা যেটা রাজপথে বলছেন, সেটিও তারা সংলাপে বলতে পারেন। ' 

দুইশত পৃষ্ঠার 'জাতির পিতা শেখ মুজিব' গ্রন্থটিতে ১৯৪০ সাল থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত বঙ্গবন্ধুর জীবনকালের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র ও বক্তৃতার উদ্ধৃতি সন্নিবেশিত রয়েছে।
news24bd.tv/আলী