ইরানের জনগণ সত্যের পক্ষে রয়েছে এবং বাতিলের বিরুদ্ধে বিজয়ী হবে বলে জানিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি। বুধবার বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রধানদের এক সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, এটা ঠিক যে ইরানে ইসলামি বিপ্লব বিজয়ের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সব সরকারই ইরানের জনগণের বিরুদ্ধে শত্রুতা করে এসেছে। কিন্তু শত্রুতারও একটি সীমা থাকা দরকার।
যা পেরিয়ে গেছে ট্রাম্প।পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর গত ৪০ বছর ধরে আমেরিকার সব সরকারই ইরানকে প্রধান শত্রু হিসেবে গণ্য করে এসেছে। যেকোনো উপায়ে ইসলামি সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা চালিয়েছে। আমেরিকা সময়ই ইরানের বিরুদ্ধে কয়েকটি লক্ষ্য অর্জনের চেষ্টা চালিয়ে এসেছে।
ইরানে ইসলামি বিপ্লবের ৪০তম বছরে পদার্পণের একই সময়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শত্রুতা ও বিদ্বেষের মাত্রা অতীতের সব রেকর্ড ও সীমা ছাড়িয়ে গেছে। পরমাণু সমঝোতা থেকে আমেরিকার বেরিয়ে যাওয়া, দেশটির বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, কয়েকটি আরব দেশ ও দখলদার ইসরাইলের সঙ্গে নজিরবিহীন সহযোগিতা জোরদার, ইরানকে হুমকি হিসেবে তুলে ধরা প্রভৃতি ইরান বিরোধী পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করা যায়।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তার বিভিন্ন বক্তৃতায় মধ্যপ্রাচ্যের ব্যাপারে ইরানের নীতিতে পরিবর্তন আনার যে দাবি জানিয়েছেন তা খুবই হাস্যকর।
মার্কিন এ আচরণের ব্যাপক সমালোচনা করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প অতীত প্রেসিডেন্টদের মতোই ইতিহাসের আস্তা-কুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবেন।
পর্যবেক্ষকরা বলছেন, ইসলামি ইরানের স্বাধীনচেতা নীতিই আমেরিকার শত্রুতার প্রধান কারণ। বিশেষ করে ইরান ক্ষেপণাস্ত্রসহ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিরাট সাফল্য অর্জন করায় এবং মধ্যপ্রাচ্যে ইরানের গ্রহণযোগ্যতা দিন দিন বাড়তে থাকায় যুক্তরাষ্ট্রের ঘুম হারাম হয় গেছে।
(নিউজ টোয়েন্টিফোর/তৌহিদ)