রেলের সূচি ওলট-পালট, স্টেশনে হাজার হাজার যাত্রী

রেলের সূচি ওলট-পালট, স্টেশনে হাজার হাজার যাত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদের সময় যত ঘনিয়ে আসছে রেল সূচি ততই গড়বড় হচ্ছে। আজ (১৫ জুন) রাজধানীর বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে কিছু ট্রেন নির্ধারিত সময়ের ৫-৬ ঘণ্টা পরেও ছেড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন স্টেশনে দায়িত্ব কর্মকর্তারা। তবে বিকেলের পর যাত্রীদের ভিড় কমবে বলে মনে করছেন দায়িত্বরতরা।

শুক্রবার বিমানবন্দর রেলস্টেশনে সরেজমিনে দেখা গেছে, ভোর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে বিভিন্ন জেলার উদ্দেশে ১৬টি ট্রেন ছেড়ে গেছে।

প্রতিটি ট্রেনই নির্ধারিত সময়ের ১ থেকে ৬ ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়েছে। ফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ধরতে অনেকে সেহেরি খেয়ে পরিবার-পরিজনদের নিয়ে স্টেশনে পৌঁছালেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করেও গন্তব্যের ট্রেনের দেখা পাননি। এতে করে নারী ও শিশুদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।
বিলম্বে এলেও ট্রেনে ওঠা নিয়ে শুরু হয় আরেক যুদ্ধ। অনেকে টিকিট না পেয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উঠছেন ট্রেনের ছাদে।

দেখা গেছে, ট্রেন বিলম্বের কারণে যাত্রীদের ভিড়ে দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না। গতকাল (১৪ জুন) শেষ কার্যদিবস হওয়ায় সন্ধ্যার পর থেকে যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে অফিস শেষ করে রাতেই বাড়ির পথে রওনা দিয়েছেন।  

প্লটফর্মে অপেক্ষমান যাত্রীরা জানান, তাড়াহুড়ো করে স্টেশনে পৌঁছালেও ট্রেনের অপেক্ষায় বসে থাকা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

স্টেশনে দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান, সকাল থেকে বিমানবন্দর স্টেশন থেকে ১৬টি ট্রেন ছেড়ে গেছে। তার মধ্যে রাজশাহীর ধুমকেতু এক্সপ্রেস সকাল ৬টায় ছাড়ার কথা থাকলেও দেড়টা পর্যন্ত ছাড়েনি, রংপুর এক্সপ্রেস সকাল সাড়ে ৯টায় ছাড়ার কথা থাকলেও এ ট্রেন বিকেল ৩টাতেও কমলাপুর থেকে আসেনি। সৈয়দপুরের ট্রেন নীল সাগর ৮টায় ছেড়ে যাবার কথা থাকলেও এখনও ঢাকাতেই পৌঁছায়নি, লালমনিরহাটের ঈদ স্পেশাল এক্সপ্রেস ৯টা ৪৫ মিনিটে আসার কথা থাকলেও ট্রেননি এখনও পৌঁছায়নি। খুলনার সুন্দরন এক্সপ্রেস ৩ ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়েছে।

বিমানবন্দর স্টেশন মাস্টার আবুল আলীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড় হওয়ায় ট্রেন সিডিউল মেনটেইন করতে বিলম্ব হচ্ছে। এছাড়াও ইঞ্জিল ফ্রেসকরণসহ কমলাপুর থেকে ট্রেন ছাড়তে বিলম্ব হওয়ায় সিডিউল বিলম্ব হচ্ছে।

তিনি বলেন, সকলকে নিরাপদে বাড়ি পৌঁছে দেয়াটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। সেটিকে মাথায় রেখে আমরা কাজ করছি। তবে আজ বিকেল থেকে যাত্রীদের ভিড় কমে যাবে। এরপর থেকে সিডিউল মোতাবেক ট্রেন ছাড়া সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন এই রেল কর্মকর্তা।

ছাদে যাত্রী ওঠার বিষয়ে তিনি বলেন, পরিবারের সঙ্গে সকলে ঈদ করতে বাড়ি যাচ্ছে। ট্রেনের ভেতরে জায়গা না পেয়ে অনেকে ছাদে উঠছেন। বিষয়টি মানবিক কারণে বাধা দেয়া হচ্ছে না বলে তিনি মন্তব্য করেন।

অরিন/নিউজ টোয়েন্টিফোর

সম্পর্কিত খবর