বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানী ঢাকার সদরঘাট থেকে কয়েকশ যাত্রী নিয়ে রওনা হয়েছিল লঞ্চ এমভি অভিযান-১০। চাঁদপুর, বরিশাল ও দপদপিয়া ঘাট পেরিয়ে লঞ্চটি যাচ্ছিল বেতাগী, শেষ গন্তব্য ছিল বরগুনা; শীতের রাতে যাত্রীদের অধিকাংশই ছিলেন ঘুমে। দিবাগত রাত ৩টার দিকে কোনো এক সময় চলন্ত লঞ্চে আগুনের সূত্রপাত হয়। ওই অবস্থাতেই এগিয়ে যেতে থাকে অভিযান-১০, এক পর্যায়ে পুরো লঞ্চটি পুড়ে যায়।
ওই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বিশখালি নদী থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, উপজেলার মঠবাড়ি ইউনিয়নের ডহরসংকর গ্রামের নাপিতেরহাট সংলগ্ন বিশখালি নদীতে ভাসমান অবস্থায় এ মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের প্রাথমিক ধারণা, গত শুক্রবার ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে ‘এমভি অভিযান-১০’ নামের ওই লঞ্চের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেক যাত্রী নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হয়। এ মরদেহটি ওই নিখোঁজ হওয়া যাত্রীর।
আরও পড়ুন:
লঞ্চে অগ্নিকাণ্ড: ত্রুটি নিয়ে অন্য লঞ্চের সঙ্গে পাল্লা
এ বিষয়ে রাজাপুর থানা অফিসার ইনচার্জ পুলক চন্দ্র রায় জানান, মরদেহটি লঞ্চের নিখোঁজ হাওয়া যাত্রী হতে পারে বলে কারণ মরদেহের শরীরে পোড়া দাগ রয়েছে। এছাড়া মরদেহটি পানিতে ডুবে ফুলে আছে।
উল্লেখ্য, ভয়াবহ এই অগ্নিকাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪২ জনে। এতে দগ্ধ হয়েছেন বহু মানুষ। তাদের মধ্যে এখনো অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আহতদেরকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
news24bd.tv রিমু