ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গার বানা ইউনিয়ন পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ছিলেন হাদী হুমায়ুন কবীর। কিন্তু তার বিরুদ্ধে চাল আত্মসাতের অভিযোগের পর সত্যতা পেলে চেয়ারম্যান পদ থেকে বরখাস্ত করা হয় তাকে। এরপরেও আবারও নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিলেন হাদী হুমায়ুন কবীর।
রোববার (২৬ ডিসেম্বর) উপজেলার বানা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে হাদী হুমায়ুন কবীর বাবু আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়।
জানা গেছে, আলফাডাঙ্গার বানা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চেয়ারম্যান পদে তিনবারের নির্বাচিত হন হাদী হুমায়ুন কবীর বাবু। সর্বশেষ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচন হন তিনি। ২০২০ সালের ঘূর্ণিঝড় আম্পানে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দকৃত চাল আত্মসাৎকালে হাতেনাতে আটক হন তিনি। ২০১৯-২০২০ চক্রের দুঃস্থ মহিলা উন্নয়ন (ভিজিডি) কর্মসূচির প্রায় ৭.৫৩ মেট্রিক টন (৭৫৩০ কেজি) চাল আত্মসাতের অভিযোগে একইসঙ্গে আটক হন ইউপি সচিব মুস্তাফিজুর রহমান।
পরে তাদের দুজনকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দুই লাখ টাকা জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। এরপর ৭ জুলাই চাল বিতরণে অনিয়ম ও আত্মসাতের অভিযোগে স্থানীয় সরকার বিভাগ চেয়ারম্যান হাদী হুমায়ুন কবীর বাবুকে সাময়িক বরখাস্ত করেন। পরে তিনি আর দায়িত্ব ফিরে পাননি।
গরিবের চাল আত্মসাৎ ও নানা অনিয়মের কারণে চেয়ারম্যানের পদ থেকে বরখাস্ত হওয়ার পর তার জনপ্রিয়তা শূন্য স্থানে নেমে আসে। আর এ কারণেই এবারের নির্বাচনে মাত্র ১৭২ ভোট পেয়ে জামানত হারিয়েছেন এক সময়কার জনপ্রিয় এই জনপ্রতিনিধি।
এ বিষয়ে হাদী হুমায়ুন কবীর বাবু বলেন, আমি নির্বাচনে অংশ নিতে চাইনি। কিন্তু এলাকায় অবস্থান ও সমর্থকদের ধরে রাখতে, তাদের খুশি রাখতে নির্বাচনে অংশ নেওয়া। তাছাড়া এখন বয়স হয়েছে। আগের মতো দৌড়ঝাঁপ করতে পারি না। যার কারণে নির্বাচনে ভালোমতো প্রচার প্রচারণা চালানো সম্ভব হয়নি। মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারিনি, এ কারণে ফলাফল এমন হয়েছে।
আরও পড়ুন
জয়নাল হাজারীর মৃত্যুতে ৩ দিনের শোক পালন করবে আ.লীগ
news24bd.tv এসএম