দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি সংকটের কারণে দৌলতদিয়া ঘাটে ফেরি পারের অপেক্ষায় প্রায় ৪ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও ২ শতাধিক যাত্রীবাহী বাস। এতে দৌলতদিয়া ফেরি ঘাটের জিরো পয়েন্ট থেকে দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কের প্রায় ৬ কিলোমিটার এলাকায় পণ্যবাহী ট্রাকের সারি রয়েছে।
বুধবার (২৯ ডিসেম্বর) দৌলতদিয়া ফেরি ঘাট এলাকায় গিয়ে সরেজমিন দেখা যায় ও ঘাট সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা যায়, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে ফেরি সংকট রয়েছে। এই নৌরুটে ১৮-২০ ছোট-বড় ফেরি চলাচল করলেও বর্তমান ১৫টি ফেরি সচল রয়েছে।
যে কারণে প্রতিনিয়ত দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া উভয় ঘাটে যানবাহন ফেরি পারের অপেক্ষায় থাকছে।সাড়ে ৩ কিলোমিটার যাইতে তিন দিন অপেক্ষা। ব্যয় করতে হয় প্রয়োজনের চেয়ে ৩-৪ গুণ বেশি টাকা। ঘুম চোখে নিয়ে বসে থাকতে হয় ড্রাইভিং সিটে।
তিন আরও বলেন, বছরের বেশির ভাগ সময় দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের উভয় পারে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গুনতে হয় অতিরিক্ত টাকা। নির্যাতন সহ্য করতে হয় দালালচক্র ও পুলিশের।
যাত্রীবাহী বাস গোল্ডেন লাইন পরিবহনের এক চালক বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের উভয় ঘাটের দুর্ভোগ আমাদের সহ্য হয়ে গেছে। এই দুর্ভোগ এখন কিছু মনে হয় না। তিনি দুঃখ করে আরও বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া ঘাটের দুর্ভোগ কে না জানে? এই ঘাটের দুর্ভোগ সারা বছরের। যে কারণে আর বলতে মনে চায় না।
৫০ বছরের এক নারী বরিশাল থেকে যাত্রীবাহী বাস সাকুরা পরিবহনে ঢাকা উদ্দেশে এসেছেন। দৌলতদিয়া ঘাটে যানজটের কারণে প্রায় ৩ ঘণ্টা যাবৎ অপেক্ষা করছেন। তবুও ফেরির দেখা মেলেনি। তিনি বলেন, গাড়ীর মধ্যে দীর্ঘ সময় বসে আছি। গাড়ী চলছে না। প্রয়োজনের তাগিদে গাড়ী থেকে নেমেছি কিন্ত মাঝ রাস্তায় কোন পাবলিক টয়লেট খুঁজে পাচ্ছি না।
তিনি আরও বলেন, নারী ও শিশু যাত্রীদের কথা বিবেচনা করে ঘাট সংশ্লিষ্টদের মহাসড়কে পর্যাপ্ত পরিমান পাবলিক টয়লেট দেওয়া প্রয়োজন।
বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) দৌলতদিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক মোঃ শিহাব উদ্দিন জানান, দৌলতদিয়া ঘাটে প্রায় ৫ শতাধিক পণ্যবাহী ট্রাক ও যাত্রীবাহী বাস ফেরি পারের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি বলেন, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে বর্তমান ছোট বড় ১৫টি ফেরি চলাচল করছে।
আরও পড়ুন
প্রায় ২০ মাস বন্ধ থাকার পর চালু হল শেবাচিমের বার্ন ইউনিট
news24bd.tv এসএম