একবার খাদ্যের খুব আকাল পড়েছিলো

শান্তা আনোয়ার

একবার খাদ্যের খুব আকাল পড়েছিলো

শান্তা আনোয়ার

বাংলায় রাজনৈতিক শ্লোগানে পশ্চিমবঙ্গ অনেক বুদ্ধিদীপ্ত শ্লোগান উপহার দিয়েছে। সম্ভবত সবচেয়ে কাব্যিক শ্লোগান ছিলো, শহীদ নুরুল শিখিয়ে গিয়েছে ঐক্যের পতজে বাঁঁচতে, দিন বদলের ডাক পাঠিয়েছে তারা হাতুড়ি ও কাস্তে।  

খাদ্য আন্দোলনে শহীদ নুরুলকে নিয়ে এটা ছিলো সিপিএমের বিখ্যাত দেয়াল লিখন।  

ভোটের সময়ে বামেদের একটা প্রতীক ছিলো ধানের শীষ আর কাস্তে।

শ্লোগান ছিলো, ভোট দেবেন কিসে, কাস্তে ধানের শীষে। কংগ্রেস শ্লোগান দিতো, গড়তে দেশ রুখতে চিন, কংগ্রেসকে ভোট দিন। এর পালটা বামেরা লিখেছিলো, খুব গড়েছো দেশ, খুব রুখেছো চিন, মাথা অবধি বিকিয়ে আছে আমেরিকার ঋণ।  

কিন্তু বামদের সেই বুদ্ধিদীপ্ত প্রজন্মের পরে এলো অখাদ্য এক প্রজন্ম।

আমাদের দেশের মতোই। একজন কংগ্রেস নেতা ছিলেন খুব বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী। পুলিশের গুলিতে একটা চোখ হারিয়েছিলেন। এই বামেরা তাকে নিয়ে দেয়ালে লিখেছিলো, পুকুরের শত্রু কচুরিপানা, দেশের শত্রু অতুল্য কানা।  

কংগ্রেসের আমলে একবার খাদ্যের খুব আকাল পড়েছিলো। সেইসময়ে কংগ্রেস মন্ত্রীসভার সদস্য আভা মাইতি চালের বিকল্প মাইলো নামের এক শস্য আনার প্রস্তাব দিয়েছিলো। এটা শুনে এই বামেরা শ্লোগান বানিয়েছিলো, আভা দিদির মাইলো, কত লোকে খাইলো।  

তবে সবচেয়ে ম্যাচিউরড সবচেয়ে হৃদয়গ্রাহী শ্লোগান লিখেছিলো কংগ্রেসই। ইন্দিরা গান্ধী নিহত হবার পরে তারা ইন্দিরা গান্ধীর বিশাল এক বহুবর্ণ ছবির নিচে লিখেছিলো।

আরও পড়ুন:

বিশ্ব জুড়ে বাতিল করা হচ্ছে ফ্লাইট

এই প্রথম ওয়েব সিরিজে ডিপজল

তোমার রক্তে ধুয়েমুছে যাক আমাদের সব বিভেদপন্থার পাপ, তোমার চিতাভষ্ম থেকে উজ্জীবিত হোক এক নতুন সোনার ভারত।
কোন প্রতিহিংসা নেই। কোন বদলার ভাষা নেই। আছে এক ঐক্যের ডাক। সেই কাব্যিক যুগ পার হয়ে আমরা এসেছি, মারবো এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে বা খেলা হবের যুগে।  

শ্লোগান দেখেই আমরা বুঝতে পারি কারা এখন রাজনীতি করছে। বুদ্ধিমান মেধাবী মানুষ নাকি দুর্বৃত্ত।

(মত-ভিন্নমত বিভাগের লেখার আইনগত ও অন্যান্য দায় লেখকের নিজস্ব। এই বিভাগের কোনো লেখা সম্পাদকীয় নীতির প্রতিফলন নয়। ) 

news24bd.tv/এমি-জান্নাত