মহান রাব্বুল আল আমিন বান্দাদের পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পাশাপাশি কিছু ছোট ছোট আমল দিয়েছেন যেগুলো পাঠে অধিক সওয়াব লাভ করা যায়। প্রত্যেক ওয়াক্ত সালাতের পর কিছু জিকির, দোয়া ও তাসবিহ রয়েছে। যেগুলোর রয়েছে আলাদা আলাদা সওয়াব। এসব দোয়া ও জিকির সম্পর্কে হাদিসে প্রচুর বর্ণনা এসেছে।
ফজর ও মাগরিবের পরও অনেকগুলো দোয়ার কথা হাদিসে রয়েছে। তবে আমরা একটি দোয়ার ফজিলত ও সওয়াব নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করবো।
হাদিসে রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ফজরের নামাযের পর দশ বার লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু... পড়বে, বিনিময়ে তার আমলনামায় চারজন গোলাম আজাদ করার সওয়াব লেখা হবে, দশটি নেকি লেখা হবে, দশটি গুনাহ মাফ হবে, দশটি মর্যাদা বৃদ্ধি পাবে ও এ কালিমাগুলো সন্ধ্যা পর্যন্ত তার জন্য শয়তান থেকে হেফাজতের কারণ হবে। তেমনি মাগরিবের পর পড়লে অনুরূপ সওয়াব মিলবে এবং সকাল পর্যন্ত শয়তান থেকে হেফাজতে থাকবে।
উচ্চারণ: লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকা লাহু। লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু। ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন কাদির। ’ কোনো কোনো বর্ণনায় ‘ইয়ুহয়ি ওয়া ইয়ুমিতু’ শব্দও রয়েছে। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৫৩৪)
দোয়াটি যখন পড়তে হবে
এ ব্যাপারে কোনো বর্ণনায় রয়েছে, নামাজের বৈঠক থেকে ওঠার আগে এবং কোনো কথা বলার আগেই পড়বে। অন্য বর্ণনায় শুধু নামাজের পর পড়ার কথা রয়েছে। (তিরমিজি, হাদিস: ৩৫৩৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ১৭৯৯০)
দোয়াটির সওয়াব-ফজিলতে বিভিন্ন বর্ণনা
আবার ফজিলতের বিষয়ে কোনো বর্ণনায় এসেছে, ‘...তার আমলনামায় একশ নেকি লেখা হবে, একশ গুনাহ মাফ হবে এবং একজন গোলাম আযাদ করার সওয়াব পাবে। ’ (মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ৮৭১৯)
কোনো বর্ণনায় আছে, ইসমাঈল (আ.)-এর বংশধরের একজন গোলাম আজাদ করার সওয়াব পাওয়া যাবে। কোনো বর্ণনায় এসেছে, দশজন গোলাম আজাদের সওয়াব পাওয়া যাবে। (আবু দাউদ, হাদিস: ৫০৭৭; তিরমিজি, হাদিস: ৩৫৩৪; মুসনাদে আহমাদ, হাদিস: ২৩৫৬৮)
বর্ণনায় কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। তবে আমাদের আলোচ্য বিষয় হলো, ফজর ও মাগরিবের পর এই দুআর আমলের মাধ্যমে আল্লাহ বান্দার গুনাহ মাফ করেন।
আরও পড়ুন
মেঘনা সিমেন্টের ১০ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন
news24bd.tv এসএম