একদিকে শীত, অন্য দিকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক পরীক্ষা শেষ। পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করে নিতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষে কুয়াকাটার সৈকতে ছুটে এসেছে হাজারো পর্যটক।
তীব্র শীতে সৈকতের বালিয়ারীতে প্রিয়জনদের সাথে অবিরাম ছুটাছুটি আর সমুদ্রের গর্জন যেন পর্যটকদের মুগ্ধ করে তুলেছে। নানা বয়সী পর্যটকের আগমনে রাখাইন মার্কেট, ঝিনুকের দোকান, খাবার ঘর, চটপটির দোকানসহ পর্যটন নির্ভর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো মুখরিত হয়ে উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঐতিহ্যবাহী কুয়া, শ্রীমঙ্গল বৌদ্ধ বিহার, আড়াই শতবর্ষী নৌকা, ইলিশ পার্ক, কুয়াকাটা জাতীয় উদ্যান, ঝাউ বন, জাহাজমারা সৈকত, লেম্বুর চর, চর গঙ্গামতি, লাল কাঁকড়ার দ্বীপ, ফাতরার বন, এশিয়ার সর্ববৃহৎ সীমা বৌদ্ধ বিহার ও রাখাইন পল্লীসহ বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানেও বাড়ছে পর্যটকদের সংখ্যা।
এদিকে ইংরেজি নতুন বছরকে বরণ করতে হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস নতুন সাজে সাজানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ডিসেম্বরের এই শেষ সপ্তাহে পরিবার-পরিজন কিংবা পছন্দের মানুষটিকে নিয়ে কুয়াকাটার নৈসর্গিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে ছুটে এসেছেন পর্যটকরা। গত কয়েক দিন ধরে পর্যটকদের সংখ্যা বাড়ছে। তাদের হাতে থাকা স্মার্ট ফোনের সেলফি ও ভিডিও ক্লিপস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও ছড়িয়ে দিচ্ছেন। পর্যটক স্পটগুলো হয়ে উঠেছে উৎসব মুখর।
পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও কাজ করছে। পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বেচা কেনার ধুম পড়েছে। তবে অধিকাংশ হোটেল, মোটেলের রুম আগে থেকেই বুকিং হয়ে গেছে। সৈকতে কথা হয় শিক্ষার্থী শাহ নেওয়াজের সাথে।
তিনি বলেন, আমাদের কলেজের পরীক্ষা শেষ হয়েছে। বন্ধুদের সাথে কুয়াকাটায় এসেছি। সমুদ্র সৈকত দেখা ও তার উত্তাল পাতাল ঢেউয়ের গর্জনসহ দর্শনীয় স্থানগুলো অসাধারণ লেগেছে।
কুয়াকাটা ইলিশ পার্কের পরিচালক রুমান ইমতিয়াজ তুষার বলেন, পর্যটকদের ভিড় বারছে। পর্যটকদের বিনোদন দিতে আমরা বিভিন্ন রকমের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খন্দকার আবুল খায়ের বলেন, পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন
বিরতিহীন বাসে সন্তান প্রসব, আজীবন ভাড়া ফ্রি
news24bd.tv এসএম